Read in English
This Article is From Nov 13, 2018

দু’দিন বাদে তামিলনাড়ুর উপর দিয়ে বয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় গাজা, বিপর্যয় মোকাবিলায় 30 500 উদ্ধারকারী

তামিলনাড়ুর নাগাপাট্টিনাম, তানজাভুর, রমানাথপুরমের মতো জায়গায়  সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা  হচ্ছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • সবমিলিয়ে 30 হাজার 500 জন উদ্ধারকারীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে
  • সোমবারই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী
  • তামিলনাড়ুর 4,399টি জায়গাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে
চেন্নাই :

দু'দিন বাদে তামিলনাড়ুর উপর দিয়ে বয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় গাজা। আবহাওয়া  দপ্তর সোমবার রাতে বলেছে বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর কুদ্দালর এবং প্যাম্বেবনের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বয়ে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়।  ক্ষয়ক্ষতি রুখতে সমস্ত ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে 30 হাজার 500 জন উদ্ধারকারীকে তৈরি থাকতে বলা  হয়েছে। তামিলনাড়ুর পাশেই  কেন্দ্রশাসিত এলাকা পন্ডিচেরি। সেখানেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে আশঙ্কা করে ব্যবস্থা  নিয়ে রাখা হয়েছে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে,  ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান বঙ্গপোসাগরে। চেন্নাই থেকে সেটির  দূরত্ব 720 কিমি। আর সেটি  ধীরে  ধীরে  দক্ষিণ পশ্চিম দিকে  অগ্রসর হচ্ছে। মনে করা  হচ্ছে  আজই আরও শক্তি বাড়িয়ে  অতি  শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে গাজা। 

সমস্ত  দিক থেকে প্রস্তুত থাকতে  সোমবারই  উচ্চপর্যায়ের  বৈঠক করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানাস্বামী। সেই বৈঠকের পর রাজস্ব মন্ত্রী আর বি উদয় জানিয়েছে  30 হাজার 500 জন উদ্ধারকারীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গোটা তামিলনাড়ু  রাজ্যে  4,399টি জায়গাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির সুরক্ষার ব্যবস্থা  করা হয়েছে।

এখন ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বেশি থাকলেও পরে  তা কমে  আসবে  বলে  মনে  করা হচ্ছে।  কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ু জুড়ে  বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা  তৈরি হয়েছে। কাল  দুপুর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়  ভারী থেকে  অতিভারী বৃষ্টির  আশঙ্কা করছে  হাওয়া অফিস। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।          

Advertisement

প্রতিটি অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে  যা হয়ে থাকে এখানেও সেটাই হচ্ছে। মৌসম ভবন বলেছে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় একশো কিলোমিটারেরও বেশি থাকতে  চলেছে। তার সঙ্গে  পাল্লা  দিয়ে  হবে  বৃষ্টিপাত। তামিলনাড়ুর নাগাপাট্টিনাম, তানজাভুর, রমানাথপুরমের মতো জায়গায়  সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা  হচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তর থেকে  ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানতে পেরে  কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশন তামিলনাড়ু এবং কেরালার  জন্য বিশেষ  সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে পন্ডিচেরিতেও সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা করে  রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে  নাগরিকদের বলা  হয়েছে  তারা যেন  সোশ্যাল মিডিয়ার খবরে বিভ্রান্ত  না হন।                

Advertisement

 

Advertisement