সোমবারই অন্ধ্র উপকূলে এসেছে পেতাই
ভুবনেশ্বর: অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ঘুর্ণিঝড় পেতাইয়ের আছড়ে পড়া এবং আঞ্চলিক ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের খব আবহাওয়া দফতর সূত্রে পাওয়ার পরেই উড়িষ্যা সরকার ১১ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
সোমবার বিকেলে পূর্ব গোদাভারী জেলার কাটরেনিকোনার কাছে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে। ৮৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে ওই ঝড় ওই জেলার কাটরেনিকোনা, তল্লারেভু এবং মালকীপুরম গ্রামে বহু বিদ্যুতের পোল ও গাছ উপড়ে ফেলে। জেলার বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্পেশাল রিলিফ কমিশনারের (এসআরসি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "আমরা গজপতি জেলার প্রায় ১১,৬00 জনকে উদ্ধার করেছি। কারণ এই বছর অক্টোবরে ঘুর্ণিঝড় তিতলির পরে ধ্বংস হয়ে যায় তাঁদের ঘর, সেগুলি এখনও মেরামত করা হয়নি"।
গজপতি জেলার সাতটি আশঙ্কাজনক ব্লক থেকে মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই অফিসার জানান, "আমরা জনগণকে স্থানান্তরিত করেছি কারণ এই দুর্যোগের সময় অর্ধনির্মিত ঘরগুলিতে থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়বে"।
যদিও ঘুর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে, তবুও রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলায় তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আইএমডি'র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মালকানগিরি, কোরাপুট, গজপতি ও রায়গাড়া জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া, গজপতি, গঞ্জম, রায়গাড়া ও কালাহান্ডি জেলার বিচ্ছিন্ন স্থানগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আইএমডি জানিয়েছে। রায়গাড়া, কোরাপুট, মালকানগিরি, নবরংপুর, কালাহান্ডি, কান্ধমাল, নুয়াপাড়া, বারগড়, বলাঙ্গীর, ঝাড়সুগুডা ও সম্বলপুর জেলার অনেক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বৃষ্টির পূর্বাভাসে উড়িষ্যার কৃষকদের তাঁদের ফসল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।