This Article is From May 21, 2019

ফণী কবলিত ওড়িশাকে স্বাভাবিক করে তুলতে অনুদান চাইল সরকার

Cyclone Fani: ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ঝড়ে (Cyclone Fani) বিধ্বস্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন বাবদ ৬০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

ফণী কবলিত ওড়িশাকে স্বাভাবিক করে তুলতে অনুদান চাইল সরকার

এখনও অধিকাংশ এলাকাই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে রাত ন‌ামলেই। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরীর।

ভুবনেশ্বর:

গত ৩ মে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী (Fani)। তার দাপটে পর্যুদস্ত ওড়িশা। বিশেষত উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জনজীবন এখনও বিপর্যস্ত। পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২০০০ কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি ও প্রবাসী ভারতীয়দের থেকে অনুদান প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ওড়িশা সরকারের (#Odisha Chief Minister) পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সোমবার টুইট করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, জাতীয় বিদেশি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত, প্রবাসী ভারতীয়রা cmrfodisha.gov.in/donation/onlinedonation.php. এখানে গিয়ে তাঁদের অনুদান দিতে পারবেন। ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে— ‘আপনাদের অবদান বহু জীবনকে রক্ষা করতে পারবে এবং ওই রাজ্যকেও।'

Cyclone Fani: ফণীর আপডেট জানতে রাজ্যপালকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন, তোপ দাগল তৃণমূল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে অনুদান গ্রহণের জন্য আলাদা আলাদা ফোনলাইনও চালু করা হয়েছে।  ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ঝড়ে (Cyclone Fani) বিধ্বস্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন বাবদ ৬০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ওড়িশা সরকার কেন্দ্র থেকে ১২০০০ কোটি টাকা চেয়েছে। সরকারি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত দিয়েছে ১৩৪১ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন এজেন্সি, সংস্থা, শিল্প সংস্থা ও ব্যক্তিগত অনুদান থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।

ওড়িশার পর বাংলাদেশে ফণীর ছোবল, শিশু সহ ১২ জনের প্রাণহানির খবর

এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে ফণীর(Cyclone Fani) আঘাতে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ২৪১ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি বাড়ি। এই প্রখর গ্রীষ্মে বিস্তৃত এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে দিনের পর দিন। সর্বমোট ১৯ লক্ষ বিদ্যুতের গ্রাহকের মধ্যে কেবল মাত্র ১৯০০০ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ১৮ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও অধিকাংশ এলাকাই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে রাত ন‌ামলেই। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরীর।

তবে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুরীতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনর্বহাল করার জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ত্রাণসামগ্রী ও মাসিক অর্থ সাহায্যও করা হচ্ছে। পুরী ছাড়া অন্য ১৩টি জেলার ৯০ শতাংশ এলাকাতেই জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু পুরীতে ফণীর(Fani) তাণ্ডব এমনই ছিল, যার ফলে এখনও স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, ১০০টিরও বেশি ইলেকট্রিকের খুঁটি উপড়ে গিয়েছিল ফণী আছড়ে পড়ার পরে।

.