বিরিয়ানির এই বাহাদুরি মন কেড়েছে সকলেরই।
বিয়েটা আটকেই যাচ্ছিল! কিন্ত বিরিয়ানি বদলে দিল ছবিটা। চার হাত এক হতে আর কোনও বাধাই রইল না ।
না ভুল পড়েননি। সবটাই হয়েছে বিরিয়ানির জন্য। সব আশাই যখন শেষ হয়ে আসছে তখন বন্ধুর মতো পাশে থেকছে নবাব বাদশাদের এই খানা। শুধু পাশে থাকা নয় বিয়ের মণ্ডপে যাওয়ার রাস্তাও করে দিয়েছে।
ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক। এটা পাকিস্তানের এক যুবকের গল্প, তাঁর বিয়ের গল্প। মন দেওয়া নেওয়ার পর হবু স্ত্রীর দাদাদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর বাড়ি গিয়েছেন যুবক। দাদারা আপত্তি করলেই বিয়ে নাকচ হয়ে যাবে! পাকিস্তানের এই বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই নেটবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মাত্র দু সপ্তাহ আগে পোস্ট হলেও দেখে ফেলেছেন প্রায় আট মিলিয়ন গ্রাহক। ভিডিও দেখে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন 2.5 লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারী। শেয়ার করেছেন 36,000 জন। বিরিয়ানির এই বাহাদুরি মন কেড়েছে সকলেরই। নিজেদের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছেন অনেকে।
শুরুটা কিন্ত মোটেই ভাল হয়নি। এই যুবক তাঁর হবু সম্বন্ধীদের মতো বাহুবলি নন। ঘোড়ায় চড়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও নেই। তাই বাড়ি আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। একটু হলেই ভেঙে চুরমার হয়ে যেত বিয়ের স্বপ্ন । কিন্তু শেষ হাসি তিনিই হাসেন । ভরসা রাখেন বহু পুরনো এক পদ্ধতিতে। বহু যুগ আগে থেকেই বলা হয় কাউকে নিজের বশ করার সবচেয়ে ভাল উপায় রান্না করা। যুবকও করলেন সেটাই। আর ফলও মিলল হাতে নাতে।
দেখুন মন ভাল করা সেই ভিডিও ।
কয়েক বছর আগে পাকিস্তান ও ভারতের দুই বন্ধুর প্রথমে বিচ্ছেদ পড়ে মিলনের মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প বলেছিল এক বিজ্ঞাপনে। দেশ ভাগের সময় আলাদা হয়ে যাওয়া দুই বন্ধুকে প্রযুক্তি কীভাবে মিলিয়ে দিয়েছিল তা আজও সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম আলোচ্য বিষয়। আর এবার মন ছুঁয়ে গেল এক পাক যুবকের বিয়ের গল্প।