কলকাতা পুরসভার মেয়র ছাড়াও, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী পদে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। (ফাইল)
কলকাতা: কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রের সুড়ঙ্গের কাজের জন্য বৌবাজার এলাকায় বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবা বহু বাড়িতে ফাটল চওড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, ভূমির দৃঢ়তা শংসাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা, বা ধংস্তুপ সরানোর কাজ করতে দেওয়া হবে না। নবান্নে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কোনও নামী প্রতিষ্ঠানের ভূমির দৃঢ়তার শংসাপত্র তারা যতক্ষণ না দিতে পারছে, বা দিচ্ছে, আমরা ধংসস্তুপ সরাতে বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার কাজ করতে দেব না। এবং ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানে পুনর্নির্মাণেরও কোনও প্রশ্ন নেই”।
সমালোচনার সময় নয়, বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা পুরসভার মেয়র ছাড়াও, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী পদে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। বৌবাজারের বিপর্যয় নিয়ে রাজ্য সরকারের তৈরি কোর কমিটির সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যদি আমরা তাদের ধংস্তস্তুপ সরানো বা বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার অনুমতি দিই, শ্রমিকদের তার ভিতরে ঢুকে কাজ করতে হবে। সেই সময় বাড়িগুলি ভেঙে পড়লে তাঁদের মৃত্যু হবে, তারজন্য কে দায়ী হবে”।
মেট্রোর সুড়ঙ্গের কাজের জন্য ঘরছাড়া শতাধিক মানুষ
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের আধিকারিকরা আমাদের জানিয়েছেন যে, তারা এই পরিস্থি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, সেই কারণেই তাঁরা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসেছেন, যাতে তাঁদের থেকে পরামর্শ দিতে পারেন তাঁরা”। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে সমীক্ষা চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে প্রত্যেকটি বাড়িতে যাচ্ছেন কলকাতা মেট্রো রেলে কর্পোরেশনের আধিকারিকরাও”।
ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতা পুরনিগমের মেয়র জানান, যাঁদের বাড়ি ভেঙে পড়েছে, ফলে আধারকার্ড, ভোটারকার্ড বা ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়েছে গিয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
৩১ অগস্ট দুর্গা পিটুরি এবং স্যাকরা পাড়া লেন এলাকার কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ে এবং কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)