This Article is From Nov 15, 2019

ফের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ! রাজনৈতিক বিরোধই নেপথ্যে, উঠছে প্রশ্ন

বিজেপির অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরাই বর্ষা হাঁসদাকে খুন করেছেন।

ফের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ! রাজনৈতিক বিরোধই নেপথ্যে, উঠছে প্রশ্ন

পুলিশ জানিয়েছে, ‘অপ্রাকৃত মৃত্যু’র মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

দাঁতন:

রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ফের মৃত্যু, ফের গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ। শুক্রবার বিজেপির এক কর্মীর দেহ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রাজনৈতিক মহলের সন্দেহ যে, রাজনৈতিক বিরোধের জেরেই হত্যা করা হয়েছে এই বিজেপি কর্মীকে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম বর্ষা হাঁসদা। বর্ষা হাঁসদার (৪৪) দেহ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এলাকার সন্তোষপুরের জঙ্গলে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই এলাকায় গত এক বছর ধরে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যের প্রধান বিরোধী বিজেপি একে অপরের সঙ্গে যুযুধান।

বাবুলের পরে দেবশ্রী! বুলবুল আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপির মন্ত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, ‘অপ্রাকৃত মৃত্যু'র মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরাই বর্ষা হাঁসদাকে খুন করেছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, তৃণমূল রাজ্যে সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। “তৃণমূল রাজ্যে সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে বিজেপি কর্মীদের সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তৃণমূলের গুন্ডারা সক্রিয় ও জনপ্রিয় বিজেপি কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তিনি তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন,” বলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

"বড্ড কথা বলেন": মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল বাগযুদ্ধে বললেন জগদীপ ধনখড়

অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলেই এই মৃত্যু হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলা নিয়ে গঠিত পশ্চিমবাংলার জঙ্গলমহল এলাকায় ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঘন ঘন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। জগন্নাথ টুডু, ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার এই তিন বিজেপি কর্মীর দেহ গত বছর পুরুলিয়ায় পৃথক পৃথক ঘটনায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ওই সময় বিশাল রাজনৈতিক শোরগো ফেলেছিল এই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।

.