Read in English
This Article is From Aug 20, 2018

বাজপেয়ীর শেষকৃত্যে এসেছিলেন 26/11 কান্ডে অভিযুক্ত ডেভিড হ্যাডলির সৎ ভাই

অটলবিহারী বাজপেয়ীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকার জন্য গত সপ্তাহে যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল পাকিস্তান, তাতে উপস্থিত সদস্যদের পরিচয় জানতে পেরে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে ভারতের।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

ড্যানিয়েল গিলানি ওই বৈঠক নিয়ে টুইটও করেন।

নিউ দিল্লি:

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকার জন্য গত সপ্তাহে যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল পাকিস্তান, তাতে উপস্থিত সদস্যদের পরিচয় জানতে পেরে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে ভারতের। ওই পাঁচজন পাকিস্তানি অভ্যাগতদের মধ্যে একজন হলেন ড্যানিলেন গিলানি। যিনি, 26/11 মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড হ্যাডলির সৎ ভাই। সেই ডেভিড হ্যাডলি যে ওই হামলার আগে ভারতের বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে দেখে ‘রেকি’ করেছিল। তাকে 2009 সালে গ্রেফতার করা হয়। নীতি পর্যবেক্ষকরা ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল গিলানিকে অভ্যাগতদের দলে দেখতে পেয়ে যথেষ্ট বিস্মিত। একজন পদস্থ সরকারি আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওই অভ্যাগতরা অটলবিহারী বাজপেয়ীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে এসেছিলেন। বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। সরকারের পক্ষেও ওই পরিস্থিতির ব্যাখা করা অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠতে পারত”। অন্য এক মহল থেকে এই বিষয়ে বলা হয়, যেহেতু তাঁর ভারতে প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই, পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের এক সদস্য হিসেবেও এ দেশে আসতে কোনও বাধা নেই ড্যানিয়েল গিলানির।

সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে সৎ ভাই ডেভিড হেডলির সঙ্গে দীর্ঘদিনই সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন এই সম্মাননীয় পাকিস্তানি আমলা। সূত্র আরও জানিয়েছে, তাঁর সঙ্গে কোনওরকম সন্ত্রাসবাদের যোগ নেই এবং ভারতের কালো তালিকায়ও নেই তাঁর নাম।

“কালো তালিকা পরীক্ষা করার পরই ড্যানিয়েল ভিসা দেওয়া হয়েছিল ড্যানিয়েল গিলানিকে। তাঁর নাম ভারতের কালো তালিকায় নেই। এ দেশে আসতেও তাই তাঁর কোনও বাধা নেই। কেনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যোগ নেই তাঁর”, এক পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এই কথা জানান এনডিটিভিকে।

Advertisement

ড্যানিয়েল গিলানি অটল বিহারী বাজপেয়ীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকলেও পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী সৈয়দ আলি জাফরের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সৌজন্য বৈঠকে হাজির ছিলেন না। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সোহেল মেহমুদ, আইনমন্ত্রী সৈয়দ আলি জাফর, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এবং দক্ষিন-এশিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল মেহমুদ ফয়জল সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে।   

 

Advertisement