This Article is From Jun 09, 2019

সন্দেশখালির ঘটনার পরদিনই, রাজ্যকে ব্যবস্থা নিতে বলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আকার নিয়েছে।

বাংলায় “অবিরাম হিংসার ঘটনায়” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার।

নিউ দিল্লি:

লোকসভা নির্বাচনের পরেও বাংলায় ক্রমাগত হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারকে চিঠি দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল কর্মীদের হাতে তাদের দলের তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি(BJP)। এই নিয়ে গত ১০দিনে তিনটি হিংসার  ঘটনা, যার মধ্যে একটিতে তৃণমূল কর্মীরও মৃত্যু হয়। রাজ্যকে পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “গত সপ্তাহ ধরে চলা অবিরাম হিংসার ঘটনা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারীদের ব্যর্থতা, এবং মানুষের মধ্যে ভরসা জোগাতে ব্যর্থ হয়েছে”।

হাইওয়েতেই মৃত কর্মীদের দাহ করতে চেয়ে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, “কঠোরভাবে বলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে, এবং শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। কর্তব্যে গাফিলতি থাকা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করা হচ্ছে”। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদসংস্থা এএনআইকে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আমি নিশ্চিত, কেন্দ্র এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে”।

সন্দেশখালিতে চাপা উত্তেজনা, “নিখোঁজ”দের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি জারি

বাংলায় বিজেপি (BJP)ও তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মীদের মধ্যে সংগাত চরমে উঠেছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ আসনে পদ্মফুল ফুটেছে, গতবার তারা পেয়েছিল ২টি আসন।২২টি আসন পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)দল তৃণমূল কংগ্রেস। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে চায় না তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তাদের দলের নিহত ৫২ জন কর্মীর পরিবারকে হাজির করানো হবে, বিজেপির (BJP তরফে এই ঘোষণার পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যান নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ দিনে রাজ্যে মোট তিনটি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তারমধ্যে দুজন তৃণমূল (TMC) কর্মী এবং একজন বিজেপির (BJP)।

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটে সংঘর্ষ বাঁধে।দলীয় পতাকা সরানোকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একজন তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃত্যু হয়।দুই বিজেপি (BJP)কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজনের চোখে গুলি করা হয়।

.