This Article is From Dec 25, 2019

আদিত্যনাথের ‘‘বদলা’’ মন্তব্যের পর সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে নোটিশ ২৮ জনকে

গত শনিবার উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হয় রামপুরও। বুলেটবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।

আদিত্যনাথের ‘‘বদলা’’ মন্তব্যের পর সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে নোটিশ ২৮ জনকে

Citizenship Act violence: Rampur was among the Uttar Pradesh towns where violence broke out.

হাইলাইটস

  • ২৮ জনকে নোটিশ পাঠাল যোগী আদিত্যনাথের সরকার
  • নষ্ট হওয়া ১৪.৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে
  • আদিত্যনাথ নিয়েছিলেন, আমরা ওদের উপরে ‘বদলা’ নেব
রামপুর:

নতুন নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Act) প্রতিবাদে্ উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) হওয়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদের সময় নষ্ট হওয়া জনসম্পত্তির ক্ষতি করার জন্য ২৮ জনকে নোটিশ পাঠাল যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। ভাঙচুরের ফলে নষ্ট হওয়া ১৪.৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে ওই ব্যক্তিদের। প্রসঙ্গত, ক'দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিয়েছিলেন, ‘‘আমরা ওদের উপরে ‘বদলা' নেব।'' গত শনিবার উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হয় রামপুরও। বুলেটবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। প্রতিবাদীরা ব্যারিকেড ভেঙে পু‌লিশদের উদ্দেশে পাথর ছুড়তে থাকে। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের প্রয়োগ করে।

জনসংখ্যার তালিকা এনপিআর তখন আর এখন: যে পরিবর্তনে ঘনাচ্ছে বিতর্ক

২২ বছরের ওই তরুণের মৃত্যুর পরে রামপুরে প্রতিবাদীরা চারটি মোটরসাইকেল ও একটি পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

প্রশাসনের তরফে ২৮ জনকে নোটিশ পাঠিয়ে পুলিশের হেলমেট, ব্যাটন ও পেলেট যা নষ্ট করা হয়েছে তারও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে হিংসায় অংশ নেওয়ার জন্য।

গত সপ্তাহে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুজফফরপুরে ৬০টি দোকান সিল করে দেয় সরকার।

অমিত শাহ অস্বীকার করলেও একাধিকবার সংসদেই NPR-NRC-র মধ্যে সম্পর্ক টানা হয়েছে

লখনউ ও সম্ভল জেলায় হিংসার পরে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘যারা জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা নিলাম করে ক্ষতিপূরণের টাকা সংগ্রহ করা হবে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা বদলা নেব।''

উত্তরপ্রদেশের পনেরো জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায়। তাঁদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয় বুলেটবিদ্ধ হয়ে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, পুলিশ আদৌ গুলি চালায়নি। কিন্তু বিজনৌরের পুলিশ প্রধান NDTV-কে বলেন, সেখানে মৃত দুই প্রতিবাদীর একজন মারা গিয়েছেন পুলিশের গুলি খেয়ে। 

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনে মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে এবং এই আইন সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।  

.