কেরলের কোঝিকোড়ে আরও দুজন মারা গেল নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
হাইলাইটস
- কেরলের কোঝিকোড়ের নিপাহ ভাইরাসের আক্রমণে মারা গেল আরও দুজন
- এখনও পর্যন্ত মোট 15 জনের মৃত্যু হল
- কেরলের একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে কলকাতায়, সন্দেহের তীর নিপাহ ভাইরাসের দিকে
কেরল:
নিপাহ ভাইরাসের আক্রমণে কেরলে আরও দুজন মারা গেলেন। এর ফলে এই ভাইরাসের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 16। দুটি ঘটনাই ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড়ে।
পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 16। সূত্র গতকাল জানিয়েছে, কেরলের কারাসসারি গ্রামের এক 28 বছর বয়সী ব্যক্তির রক্তে নিপাহ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার দিন কলকাতায় এক সেনার মৃত্যু হয়। সিনু প্রসাদ নামের ওই সেনার বাড়ি কেরলে। তিনি কাজ করতেন ফোর্ট উইলিয়ামে। সন্দেহ, তিনি মারা গিয়েছে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলেই। 20 মে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কেরলে নিজের বাড়িতে একমাস ছুটি কাটিয়ে ফেরার পর সাতদিনের মাথাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
তাঁর রক্তের নমুনা পুনের ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। গোটা দেশের মধ্যে এই ইনস্টিটিউটই একমাত্র সংস্থা, যেখানে নিপাহ ভাইরাসের ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এই মারণ ভাইরাস, যা একইসঙ্গে মানুষ এবং পশুকে আক্রমণ করে, আক্ষরিক অর্থেই অত্যন্ত ছোঁয়াচে। রোগীর সঙ্গে ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে গেলেও বিপদ। ভারতে এই বছর নিপাহ ভাইরাসের প্রথম আক্রমণের ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল কেরলের কোঝিকোড় থেকে।
কোঝিকোড়ের গ্রামের এক বাড়ির কুয়ো থেকে ভর্তি মরা বাদুর পাওয়া গিয়েছিল। ওই পরিবারের চার জন সদস্যের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে এক বাবা ও তার দুই সন্তানও আছে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, তাদের মধ্যে রয়েছে জ্বর, তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, মাথাব্যথা, মস্তিষ্কের ভারসাম্যহীনতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’এর মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার উপসর্গগুলি 24 থেকে 48 ঘন্টার মধ্যেই দেখা দিতে আরম্ভ করে।
এই রোগের বাহক বলে মনে করা হয় বাদুরকে। এই রোগের কোনও টিকা এখনও আবিষ্কার হয়নি। হু’এর মতে, যে আটটি ভাইসরাস-ঘটিত রোগের ফলে মহামারীর সৃষ্টি হতে পারে, তাদের মধ্যে নিপাহ হল অন্যতম।