এবছরের ১২ নভেম্বর গুরু নানক দেবের ‘প্রকাশ উৎসব’-এর দিনটিকে ‘জাতীয় সহনশীলতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব।
গুরু নানকের জন্মদিনকে ‘জাতীয় সহনশীলতা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সোমবার চিঠি দিল পঞ্জাব সরকার। শিখ ধর্মের প্রবর্তকের দেওয়া ভালোবাসা সহমর্মিতার বার্তার কথা মাথায় রেখেই তাঁদের এই প্রস্তাব। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘গুরু নানক দেবের শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক, ঠিক যেমন তাঁর সময়ে ছিল। এবছরের ১২ নভেম্বর গুরু নানক দেবের ‘প্রকাশ উৎসব'-এর দিনটিকে ‘জাতীয় সহনশীলতা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা উচিত মহান গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে।'' মুখ্যমন্ত্রী এরপর আবেদন করেন, এর পর থেকে প্রতি বছর প্রথম শিখ গুরুর জন্মদিনটি এভাবেই পালন করা হোক। এক বিবৃতি থেকে একথা জানা যায়।
প্রবল চাপের মুখে প্রস্তাবিত নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন করল মোদী সরকার
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গুরু নানক তাঁর সারা জীবনে বহু দূরে ভ্রমণ করেছেন অন্তর্ভুক্তি ও সহনশীলতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, গুরু নানক সাম্য, সৌভ্রাতৃত্ব, ধার্মিকতা ও সদগুণের উপর ভিত্তি করে একটি অভূতপূর্ব আধ্যাত্মিক ও সামাজিক মঞ্চ নির্মাণ করেছিলেন। শিখ ধর্মের মূল বিশ্বাস, অমরেন্দ্রর বর্ণনায় ‘সরবত দা ভালা' (সকলের কল্যাণ), যা গুরু নানক বলে গিয়েছিলেন সেকথা উল্লেখ করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে সভ্যতার সাম্য, স্বার্থহীন সেবায় ব্যস্ত থাকা এবং সামাজিক ন্যায়ের জন্য কঠোর প্রচেষ্টা এবং সকলের সমৃদ্ধি। অমরেন্দ্রর কথায় গুরু নানক ছিলেন ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও সহনশীলতার এক সম্মিলিত রূপ।