বাসমতী রাইস প্রস্তুতকারী সংস্থা রামদেব ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ
নয়া দিল্লি: বিজয় মাল্য, নীরব মোদি, মেহুল চোকসির পর এবার নরেশ কুমার (Fugititive Business)। ব্যাঙ্কের খাতায় প্রায় ৪১৪ কোটি টাকার ঋণখেলাপী হিসেবে পলাতক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাসমতী রাইস (basmati Rice) প্রস্তুতকারী সংস্থার অন্যতম নির্দেশক। ২০১৬ থেকে দেশ ছাড়া নরেশ কুমার। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে গত ৪ বছর কিছুই জানত না সিবিআই (CBI)। এসবিআইয়ের তরফে সিবিআইয়ের কাছে এফআইআর দায়ের হলে প্রকাশ্যে আসে আর্থিক তছরূপের বিষয়টি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এসবিআই-সহ ছয়টি ব্যাঙ্কের থেকে মোট ৪১৪ কোটি টাকা দফায় দফায় ঋণ নিয়েছে রামদেব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। সেই তালিকায় আছে, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক আর আইডিবিআই ব্যাঙ্ক।এই মামলায় নরেশ কুমার-সহ ওই সংস্থার অপর চার নির্দেশক আর কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।
রবিবার বিক্রি শুরু হচ্ছে OnePlus Bullets Wireless Z
প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে রামদেব ইন্টারন্যাশনাল সংস্থাকে এনপিএ অর্থাৎ অলাভজনক সংস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসবিআই, সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছিল। গত এপ্রিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থা। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ আর দুর্নীতির মতো ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
বাড়ি বসেই মিলবে মদ, ডেলিভারি শুরু করতে পারে Zomato
তবে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে ৪ বছর কী করছিল এসবিআই? এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ওই ব্যাঙ্কের দাবি, "কোনওপ্রকার গড়িমসি ব্যাঙ্কের তরফে করা হয়নি।" কিন্তু সূত্রের খবর ২০১৯ সাল থেকেই বাজারে খবর ছিল পলাতক রামদেব ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার নির্দেশক।অন্য একটি সংস্থা প্রতারণার অভিযোগে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল। তারপর ট্রাইব্যুনাল তদন্তে নেমে জানতে পারে কয়েকশো কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন নরেশ কুমার।