This Article is From Jun 24, 2020

মস্কোয় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের বৈঠকের কোনও সম্ভাবনাই নেই

চিনা সংবাদমাধ্যম 'গ্লোবাল টাইমস' জানায় যে,মস্কোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাজনাথ, সেই দাবি খারিজ করলো ভারত

মস্কোয় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের বৈঠকের কোনও সম্ভাবনাই নেই

Rajnath Singh Moscow Trip: চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মস্কোয় আলাদা করে সাক্ষাৎ করবেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

হাইলাইটস

  • মস্কোয় এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন ভারত ও চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
  • সেখানেই রাজনাথের সঙ্গে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক ঘিরে জল্পনা চলছিল
  • তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দিল ভারত
নয়া দিল্লি:

মস্কোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে (Rajnath Singh Moscow Trip) সেখানে উপস্থিত চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনওভাবেই আলাদা করে সাক্ষাতের কোনও সম্ভাবনা নেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh)। চিনা সংবাদমাধ্যম 'গ্লোবাল টাইমস' এর একটি দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে ভারতের তরফ থেকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে টুইট করা হয়, "চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ে ফেঙ্গি বুধবার # মস্কোতে রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন এবং সম্ভবত সীমান্ত উত্তেজনার বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন: সূত্র"।  'গ্লোবাল টাইমস' এর এই টুইটে যে দাবি করা হয়েছে তা নস্যাৎ করে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এমন কোনও বৈঠকের সম্ভাবনাই নেই।

পূর্ব লাদাখে কমান্ডিং স্তরের বৈঠক! ইন্দো-চিন উত্তেজনা প্রশমনে সহমত

গত সোমবার লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে চিনা সেনার হাতে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় সেনা। পরে জানা যায়, ভারতের তরফ থেকে আরও ৭৬ জন ভারতীয় সেনা আহত হন। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি (India-China Standoff) ঘোরালো হয়ে ওঠে।

লাদাখ সংঘর্ষ থেকে শিক্ষা! সীমান্তের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন করল সেনা

গোটা ঘটনার জন্যে চিন ভারতীয় সেনাদের অসহিষ্ণু আচরণকে কাঠগড়ায় তুললেও ভারতের তরফ থেকে এই সংঘর্ষের জন্যে চিনকেই দায়ী করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত ৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে ৷ চিনের থেকেও আমরা একইরকম ব্যবহারের আশা রাখি আমরা ৷ ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী ৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে"।

জানা গেছে, ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ।

এই সংঘর্ষের জন্যে ভারত চিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও বেজিং পাল্টা অভিযোগ করে যে, ভারতীয় সেনারা দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা লঙ্ঘন করে চিনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করাতেই ওই ঝামেলা বাঁধে।

.