রাইসিনা হিলসে গিয়ে দেশের প্রথম নাগরিকের সঙ্গে দেখা করতে চান বাপি
হাইলাইটস
- সকলের কাছে বাপি গ্রিন ট্যাক্সি নামেই তিনি পরিচিত
- গোটা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছতে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি
- অর্থ সমস্যায় বেশ কয়েকদিন ধরে আটকে রয়েছে ' দিল্লি চলো' অভিযান
কলকাতা: তিনি পরিবেশকে বাঁচানোর রাস্তা দেখিয়েছিলেন। শহরকে শিখিয়েছিলেন ট্যাক্সির ছাদে গাছ লাগিয়েও পরিবেশ রক্ষা করা যায়। নিজের উদ্যোগের কথা শহর ছেড়ে গোটা দেশকে জানানোর ইচ্ছা আছে ধনঞ্জয় চক্রবর্তীর। এই নামে তাঁকে প্রায় কেউ চেনে না। সবার কাছে তিনি বাপি গ্রিন ট্যাক্সি নামে পরিচিত। গোটা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছতে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
চেয়েছিলেন রাইসিনা হিলসে গিয়ে দেশের প্রথম নাগরিকের সঙ্গে দেখা করতে। তবে যেমন তেমন করে নয়, রীতিমতো ট্যাক্সি চালিয়ে! শুধু তাই নয় যাত্রা পথের বেশ কিছু জায়গায় ছোট চারাগাছ লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। এছাড়া কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পরিবেশ রক্ষার বার্তাও দিতে চান তিনি।
কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অর্থ। মোট দুটি ট্যাক্সি করে দিল্লি যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন বাপি এবং তাঁর জনা কয়েক বন্ধু। যাতায়াত থেকে শুরু করে নানা খরচের জন্য দরকার টাকা। কিন্তু সেটার জোগাড় হচ্ছে না। আর তাই থমকে আছে বাপির দিল্লি চলো।
শুরুটা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। বাপির গাড়ির এক যাত্রী ট্যাক্সিতে ফেলে গিয়েছিলেন মদের বোতল। সেটা হাতে পেয়েই বাপির মনে হয়েছিল বোতলটাকে ফেলে না দিয়ে রেখে দিলে অনেক কাজে লাগতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই ট্যাক্সিতে বসল চারা গাছ।
ধীরে ধীরে তা কার্যত মহিরুহের আকার ধারন করল। একই সঙ্গে পরিচিতিও পেতে শুরু করলেন তিনি। এরপর থেকে পরিবেশ নিয়ে আলোচনা সভা হোক বা কর্মশালা-তাঁর ডাক পড়ে। ট্যাক্সি চালানোর ফাঁকে ফাঁকে সে সমস্ত কর্মসূচিতে হাজিরও হন নিয়ম করে। কথা হয় বহু পেশার বহু মানুষের সঙ্গে।
এরকমই কিছু মানুষে পরামর্শ দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কোন কোন জায়গা গাছ লাগানো যেতে পারে তা প্রাথমিক ভাবে ঠিকও করে নেন তিনি। কিন্তু অর্থ সমস্যায় বেশ কয়েকদিন ধরে আটকে রয়েছে ব্যাপারটা।