সেই তালিকায় নাম আছে অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারও। (ফাইল)
হাইলাইটস
- অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারাতে ৪০ জন প্রচারকের তালিকা তৈরি করল বিজেপি
- প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ওই ৪০ জন দলের প্রচার কর্মসূচির হাল ধরবেন
- সেই তালিকায় রয়েছেন, অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি, হর্ষ বর্ধন এবং জে পি নাড্ডাও
নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) হারাতে কোমর বেঁধে নামল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারক হিসেবে ৪০ জনকে ব্যবহার করতে একটি তালিকা তৈরি করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে সেই প্রচারকরা রাজ্য জুড়ে প্রচার করবেন। দলীয় সূত্রে এমনই খবর। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছেন এক-ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। আগামী ৩ সপ্তাহ ধরে তাঁরাই দলের প্রচার কর্মসূচির হাল ধরবেন, বলে খবর। সেই তালিকায় নাম আছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি এবং বিজেপির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি জে পি নাড্ডাও। আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মনোহরলাল খাট্টার, বিজেপি নেতা অর্জুন মুন্ডা ও মুখতার আব্বাস নাকভি। ওই ৪০ জনের তালিকায় যে নাম আছে, বেশিরভাগই অন্য রাজ্যের নেতা, বলে খবর।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ২০২০: প্রায় মাসখানেক নিষ্ক্রিয় থাকার পর কংগ্রেসের প্রচারকের তালিকায় নাম Navjot Singh Sidhu'র
এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রসিকতার সুরে টুইট করে বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বকে, ইংরাজির নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, শুভ নববর্ষ দিল্লি বিজেপির ৭ জন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমার বিরুদ্ধে কে লড়ছেন? ওই সাত জনের তালিকায় নাম ছিল, গৌতম গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারি, বিজয় গোয়েল, হরদীপ পুরি, হর্ষ বর্ধন, বিজেন্দর গুপ্তা ও সাহিব সিংয়ের।
জানা গিয়েছে, বিজেপির যুব মোর্চার মুখ সুনীল যাদবকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে বিজেপি। যদিও দলীয় ওই সিদ্ধান্তে খুশি নয় সেই তরুণ নেতা। দলীয় সুত্রে খবর, অরবিন্দ কেরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হলে, তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এমন অনুরোধ করেছিলেন পেশায় আইনজীবী ওই তরুণ নেতা। কিন্তু দলের সভাপতি জে পি জে পি নাড্ডা সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছেন।
পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ওই তরুণ নেতা বলেছিলেন, আমি অন্য আসনে দাঁড়াতে চেয়েছি, এটা অত্যন্ত ভিত্তিহীন গুজব। দল আমাকে ওই আসনে প্রার্থী করেছে, কারণ আমি স্থানীয় নেতা। এই লড়াই স্থানীয় বনাম বহিরাগতের।