Delhi Polls 2020: নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবারই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর শেষ দিন মনোনয়ন জমা করতে এসে নির্দল প্রার্থীদের লম্বা লাইনের পিছনে পড়ে অপেক্ষা করতে হল মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। এদিন বিপুল সংখ্যক নির্দল প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন পেশ করতে এসেছেন নির্বাচনী দফতরে। সোমবারই অবশ্য কেজরিওয়ালের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোড শোয়ের কারণে বিলম্ব হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়নি তাঁর। শেষ দিন প্রায় ১০০ জন প্রার্থী এসেছেন তাঁদের মনোনয়ন পেশ করতে। কেজরিওয়ালকে দেখা গিয়েছে দিল্লির জামনগর হাউসের সামনে অন্তত ৫০ জন নির্দল প্রার্থীর পিছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে। দুপুর ২.৩৬ মিনিটে তিনি টুইট করে জানান, তাঁর টোকেন নম্বর ৪৫। তিনি লেখেন, ‘‘বহু মানুষ এসেছেন মনোনয়নপত্র জমা করতে। আমি খুশি বহু মানুষ গণতন্ত্রে অংশ নিচ্ছেন।''
রোড শোয়ের কারণে দেরি, মনোনয়ন জমা দেওয়া হল না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেজরিওয়ালের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। দুপুর তিনটের আগে যাঁরা অফিসের ভিতরে ঢুকে পড়েছেন, তাঁদের সকলকেই সুযোগ দেওয়া হবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার।
আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, কেজরিওয়াল লাইনে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ জানান, অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা করতে এলেও তাঁদের কোনও প্রস্তাবক নেই, যা আবশ্যিক।
এদিকে লাইনে দাঁড়ানো এক নির্দল প্রার্থী দাবি করেন, আন্না হাজারের দুর্নীতি-বিরোধী প্রচারের সময় কেজরিওয়াল তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কেজরিওয়ালের কোনও উপায় নেই, আমাদের সবার মতোই লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া।''
নয়াদিল্লির আপ প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিনও দেরিতে পৌঁছন মনোনয়ন জমা দিতে। সোমবারই তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনারের দফতরে দুপুর তিনটের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হত। সময়মতো পৌঁছতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমাকে বলা হয়েছিল মনোনয়ন জমা দিতে। কিন্তু আমি বলেছিলাম, কী করে এদের ছেড়ে (রোড শোয়ে আসা জনতা) যাব? আমি কাল মনোনয়ন জমা দিতে যাব।''
প্রসঙ্গত, এদিনের রোড শো শুরু হয়েছিল বাল্মীকি মন্দির থেকে। ঠিক ছিল তা শেষ হবে নির্বাচনি আধিকারিকদের অফিসে গিয়ে। কিন্তু কনট প্লেসে বিপুল জনসমাগম হয়। ফলে সময়মতো গন্তব্যে আর পৌঁছনো হয়নি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, দিল্লির নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।