এতদিন দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আপ সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন Manish Sisodia
হাইলাইটস
- দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পাটপাড়গঞ্জ আসন থেকে জিতলেন মণীশ সিসোদিয়া
- মাত্র ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে হারান ওই আপ নেতা
- কেজরিওয়ালের কাজ দেখেই ভোট দিয়েছেন মানুষ, দাবি সিসোদিয়ার
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার দিল্লি নির্বাচনের ভোটগণনা (Delhi Election Result 2020) শুরুর প্রথম থেকেই আম আদমি পার্টির পালে হাওয়া, একের পর এক আসনে তরতরিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ দলের (Aam Aadmi Party) অন্য সদস্যদের। তবে ভোট ময়দানে বেশ কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয় আপ প্রধানের সহকারী মণীশ সিসোদিয়াকে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্র সিং নেগিকে প্রায় তিন হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের হাসি হাসেন তিনি (Manish Sisodia)। "পুরো দিল্লি পাঁচ বছর ধরে দেখেছে যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কীভাবে কাজ করেছেন এবং সেই নিরিখেই ভোট দিয়েছেন তাঁরা। আমি পাটপাড়গঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুশি। সেখানে বেশ টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত আমিই জিতেছি। আমি মনে করি দেশে এই প্রথমবার, শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে কোনও দল একটি নির্বাচনে জিতল", হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয় হাসিল করে বলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
"আমরা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেও মানুষের মন পাইনি;" দিল্লির ট্রেন্ড দেখে দাবি Gautam Gambhir-এর
"বিজেপি বিদ্বেষের রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল। আমি খুশি যে পাটপাড়গঞ্জের মানুষ তাতে প্রভাবিত হয়নি, নিজেদের মধ্যে বিভেদ করেনি।"
মঙ্গলবার প্রথম থেকেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রবীন্দ্র সিং নেগির সঙ্গে কড়া নির্বাচনী লড়াই হচ্ছিল আম আদমি পার্টির দুই নম্বর মণীশ সিসোদিয়ার। প্রথমের দিকে বিজেপি প্রার্থীর থেকে ২০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ছবিটা বদলাতে শুরু করে দুপুর দুটোর পর থেকে। ধীরে ধীরে তাঁর পক্ষেই বেশি হতে থাকে মানুষের সমর্থন।
এমনকি মণীশ সিসোদিয়ার উদাহরণ দিয়ে আপের বিরুদ্ধে হাওয়া বইছে বলেও একসময় প্রচার শুরু করেন বিজেপির পরবেশ সাহিব ভার্মা। ওই বিজেপি সাংসদ একথাও বলেন, "যদি শিক্ষায় উন্নয়নের ভিত্তিতেই দিল্লি নির্বাচন হয় তবে নিশ্চয়ই দিল্লির শিক্ষামন্ত্রীও হারবেন না"।
Delhi Results: বিজেপি ''হাই ভোল্টেজ'' প্রচার করেও দিল্লিতে সুবিধা করতে পারেনি, কটাক্ষ তৃণমূলের
আপের কাছে নয়া দিল্লির পাশাপাশি পাটপাড়গঞ্জ বিধানসভা আসনের লড়াইটিও অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসন পাওয়ার লড়াই ছিল। ১৯৯৩ সালে বিজেপি এই আসনটিতে জিতেছিল। এরপরে ক্রমশই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হয়ে ওঠে এই আসনটি। যদিও পরে আপের আবির্ভাবে ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে এই আসনটি থেকে লড়ে জয়লাভ করেন মণীশ সিসোদিয়া।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপ ৫২.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬২ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এবং বিজেপি ৩৯.৯ শতাংশ ভোট ভাগ পেয়ে ১২ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এই নিয়ে কংগ্রেস টানা দ্বিতীয়বার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন পেল না।