Delhi polls: কংগ্রেসের প্রচারকের তালিকায় সিধুর নাম।
হাইলাইটস
- দিল্লি বিধানসভার প্রচারক হিসাবে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস
- রাহুল গান্ধি, সনিয়া গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির নাম আছে ওই তালিকায়
- বিস্ময়কর ভাবে তালিকায় জায়গা পেয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোত সিং সিধু
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election) কংগ্রেসের প্রচারকের তালিকায় একাধিক শীর্ষ নেতার নাম আছে। আছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi), সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি (Priyanka Gandhi) এবং দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নামও ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সেই তালিকায় অবিশ্বাস্য অন্তর্ভুক্তি নভজ্যোত সিং সিধুর (Navojyot Singh Sidhu) নাম ! ২০১৯-এর জুলাই মাসে পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে মতবিরোধ, সেই সিদ্ধান্তের পিছনে ছিল। তারপর বহু মাস সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাইনি এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদকে। এমনকি হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারক হিসেবে তাঁকে ব্যবহার করেনি দল। জানা গেছে, সেই অভিমানে দলের ওপর গোঁসা করে বিমর্ষ ছিলেন তিনি। কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলা দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রচারকের ভূমিকায় দেখা যাবে। বুধবার ৪০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ্যে এনেছে কংগ্রেস। সেই ৪০ জনের মধ্যে নাম আছে সিধুর বলেই খবর।
CAA & NRC: হিম্মৎ থাকলে প্রয়োগ করে দেখান: অমিত শাহকে প্রশান্ত কিশোরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ওই তালিকায় কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম যেমন আছে, তেমনই দলের তারকা রাজনীতিবিদ, তাঁরাও আছেন। রাজ বব্বর, শত্রুঘ্ন সিনহা, খুশবু আর নাগমার নাম রয়েছে ওই ৪০ জনের তালিকায়। তরুণ মুখ হিসেবে নাম আছে শচিন পাইলট, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও দলের অন্যতম মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার নাম। আছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু নাম নেই সে রাজ্যের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিতের। ২০১৫-র নির্বাচনে একটি আসনও দিল্লিতে পায়নি কংগ্রেস। প্রায় ১৫ বছর ধরে সে রাজ্যর শাসক ছিল ওই দল। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা ১১ ফেব্রুয়ারি।
CAA: নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, ৪ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব
দলীয় সূত্রের খবর, নভজ্যোত সিধুর সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মূল বিরোধ, পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে তাঁর শুভেচ্ছা বিনিময়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে খানিকটা দলীয় হুইপ উপেক্ষা করে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার পাশাপাশি, সেনা প্রধান কামার বাজবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি ঘিরে বিতর্ক বেড়েছিল। এরপরেই সিধুর থেকে কয়েকটি দফতর কেড়ে নেওয়া হয়। সেই অভিমানে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে সাময়িক 'সন্ন্যাস' নিয়েছিলেন ওই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ, দাবি বিশ্লেষকদের।