This Article is From Jan 06, 2020

দিল্লিতে ভোটগ্রহণ ৮ ফেব্রুয়ারি, ফলাফল ১১ ফেব্রুয়ারি

২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, দিল্লিতে মোট বিধানসভা আসন সংখ্যা ৭০

দিল্লিতে ভোটগ্রহণ ৮ ফেব্রুয়ারি, ফলাফল ১১ ফেব্রুয়ারি

৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব

নয়াদিল্লি:

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly elections) দিনক্ষণ ঘোষণা কর নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব, ১১ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগণনা, সেদিনই ফলাফল জানা যাবে মনে করা হচ্ছে, সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা (Sunil Arora) । এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার জানান, “অবাধ ভোটগ্রহণ” সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর কমিশন, সেই জন্য দিল্লিতে ১৩,০০০ ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে এবং ভোটের কাজে নিযুক্ত থাকবেন ৯০,০০০ আধিকারিক। ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, দিল্লিতে মোট বিধানসভা আসন সংখ্যা ৭০। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৈরি করতে হবে নয়া সরকার।

গতমাসে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি, ২০১৯ সালে সেটি ছিল গেরুয়া শিবিরের দ্বিতীয় পরাজয়। তারপর তাদের কাছে দিল্লিই হবে প্রথম নির্বাচন। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম এবং কংগ্রেসের জোটের কাছে পরাজিত হয় কেন্দ্রের শাসকদল।  

গত বছরে লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয়ের পর বিজেপির কাছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে এটাই হবে প্রথম নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭টি আসনেই জয়লাভ করে পদ্ম ব্রিগেড।

২০১৫ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় তারা পেয়েছিল ৬৭টি আসন, বাকি তিনটি আসনে জিতেছিল বিজেপি, কোনও আসনেই জিততে পারেনি কংগ্রেস।

২০১৫ বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৫৪.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল আম আদমি পার্টি। ৩২.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়স্থানে ছিল বিজেপি, কংগ্রেস পেয়েছিল ৯.৭ শতাংশ ভোট।

দুবছর আগে, মাত্র ২৮টি আসনে জিতেছিল আম আদমি পার্টি, কংগ্রেসের “অসাংবিধানিক সমর্থনে” সরকার গড়তে পেরেছিল তারা, কংগ্রেসের দখলে ছিল ৮টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে ছিল ৩২টি আসন।

এবারের নির্বাচনে যে ইস্যুগুলি প্রাধান্য পেতে চলেছে তারমধ্যে অন্যতম, গতবছর দেশের রাজধানী ছড়িয়ে পড়া দুষণ, এবং ১,৭৩১টি অবৈধ কলোনিকে কেন্দ্রের পদক্ষেপ।

এছাড়াও এবারের নির্বাচনে প্রচারের জায়গা করে নিতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ইতিমধ্যেই যে সমস্ত অবিজেপি নেতারা এই আইনটির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালও, এবং এনআরসি ও এনপিআরের বিরোধিতাও করেছেন।  

গতমাসে ভোটপ্রচার শুরু করেছে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি, উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া দাবি করেছেন, এবারেও জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।   

তাদের তরফে ইতিমধ্যেই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর দলকে নিয়োগ করা হয়েছে আম আদমি পার্টির তরফে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর “চায়ে পে চর্চা” র মধ্যে দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। 

গতমাসে প্রচারাভিষান শুরু করেছে বিজেপিও, দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে জনসভা করে প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ নিয়ে বিরোধীদের বিশেষ করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।  

২০২০ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১.৪৬ কোটি মানুষ, সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে পিটিআইকে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা, আগামিদিনে আরও বেশী সংখ্যাক মানুষ ভোটার তালিকা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করবেন।

.