বিয়ের আগে ভোটের লাইনে ধনঞ্জয় ধ্যানী (ফাইল)
হাইলাইটস
- বিয়ের আগে হবু বর এলেন ভোট দিতে
- তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন বরযাত্রীরাও
- ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের গণনা
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ২০২০-র ভোটগ্রহণ (Delhi Election 2020) চলছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সহ বহু নামী ব্যক্তিত্বকেই দেখা গিয়েছে ভোটদানের জন্য কেন্দ্রে আসতে। সামগ্রিক ভাবে ভোটদানের উৎসাহ একটু কম মনে হলেও আশা করা হচ্ছে দুপুরের পর থেকে বাড়বে ভোটদানের পরিমাণ। কিন্তু এরই মধ্যে দেখা গেল এক অভাবনীয় দৃশ্য। বিয়ের আগে হবু বর এলেন ভোট দিতে। তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন বরযাত্রীরাও! লক্ষ্মীনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা ধনঞ্জয় ধ্যানীকে এদিন ভোটের লাইনে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিতে তিনি এসেছিলেন বরের ধরাচুড়ো পরেই।
এদিন রীতিমতো নাচ-গান-বাজনা সহযোগে যখন বরযাত্রীরা বরকে নিয়ে নির্বাচনি কেন্দ্রে উপস্থিত হন, তখন অনেকেই অবাক হয়ে যান। দল বেঁধে এসে বরযাত্রীদের দেখা যায় ভোট দিতে। ভোট দেন স্বয়ং বর ধনঞ্জয়ও।
এখানেই শেষ নয়। ধনঞ্জয় ফোন করেন তাঁর হবু স্ত্রীকেও। সাত পাকে বাঁধা পড়ার আগে ভোটটা দিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান তাঁকে। তাঁদের বিয়ের কথা পাকা হয়ে যায় ডিসেম্বরেই। কিন্তু একেবারে ভোটের দিনই বিয়ের দিন পড়বে তা ধনঞ্জয়ের অভাবিত ছিল।
সবাইকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ধনঞ্জয় বলেন, ‘‘পাঁচ বছরে একবারই সুযোগ আসে। তাই আপনারা ভোট দিতে অবশ্যই আসবেন। আমার জানা ছিল না ৮ ফেব্রুয়ারি আমার বিয়ের দিন ঠিক হবে। আমি ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। আমি বিয়ের থেকেও ভোটকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমার হবু স্ত্রীকেও ভোট দিতে বলেছি। সেও ভোট দিয়েই বিয়েতে অংশ নেবে।''
এখনও পর্যন্ত দিল্লির ভোট শান্তিপূর্ণ। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।