বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার সমালোচনার জবাব দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
নয়াদিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) শুক্রবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ার নজরে এলেন রাজনৈতিক বাদানুবাদের সূত্রে। আগামী মাসেই বিধানসভা নির্বাচন দিল্লিতে (Delhi Assembly Election 2020)। এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার সমালোচনার জবাব দিলেন কেজরিওয়াল। অমিত শাহ বৃহস্পতিবারঅভিযোগ করেন, বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা ও স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য সিসিটিভির ব্যবস্থা করার যে দাবি করেছিল কেজরিওয়াল সরকার, তা তারা পূরণ করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার রাতে করা এক টুইটে দিল্লি বিজেপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি তুলে ধরে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার উত্তর দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
CAA Protests: এই আন্দোলন গণতন্ত্রের শিকড়কে আরও জোরদার করবে, বললেন প্রণব মুখোপাধ্যায়
অমিত শাহর দাবি ছিল, তাঁর ফোনের চার্জ কমে গিয়েছিল। এই অবস্থায় তিনি বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা চাইলেও তা পাননি। কেজরিওয়াল এর উত্তরে টুইট করে জানান, ‘‘স্যার, আমরা ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা ও চার্জিংয়ের বন্দোবস্ত করেছি।'' পাশাপাশি তিনি এও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিদ্যুতের জন্য খরচও করতে হবে না। কারণ তাঁর সরকার দিল্লির নাগরিকদের জন্য ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যের বিদ্যুৎ দেয়।
অমিত শাহ আরও দাবি করেছিলেন, ১,০৪১টি স্কুলে ১.২ লক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তাও তিনি রাখতে পারেননি। মাত্র কয়েকটি ক্যামেরার বন্দোবস্ত করতে পেরেছিলেন কেবল।
CAA: ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিজেপিতে থাকব কিনা ভাবব, বিস্ফোরক চন্দ্র বসু
জবাবে কেজরিওয়াল অমিত শাহ ও বিজেপিকে ধন্যবাদ দেন ‘মাত্র কয়েকটি' সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে পাওয়ার জন্য। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘আমি আনন্দিত আপনি কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে পেয়েছেন। কয়েক দিন আগে আপনি বলেছিলেন, একটিও ক্যামেরা ইনস্টল হয়নি। এবার আপনি আমাদের স্কুলটিও দেখাতে পারেন? আমি খুশি যে দিল্লির নাগরিকরা রাজনীতিকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। বিজেপিকেও ভোট চাইতে হচ্ছে স্কুলে সিসিটিভির কথা বলে।''
বৃহস্পতিবার দুই নেতাই ব্যস্ত ছিলেন ভোটের প্রচারে। দিনের শুরুতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল রোড শো করেছিলেন। সন্ধ্যায় অমিত শাহ ভাষণ দেন জনসভায়।
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি পেয়েছিল আপ। বিজেপি পেয়েছিল তিনটি আসন।