হাওড়া-দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস ওই সময় প্রয়াগরাজ ছাড়িয়ে দিল্লির উদ্দেশে যাচ্ছিল।
কানপুর, উত্তরপ্রদেশ: দিন বদলায়, সরকার বদলায়, রেলমন্ত্রীও বদলায়, তবুও, রেল দুর্ঘটনা রোখা যায় না। হাওড়া থেকে ছাড়া দিল্লিগাম পূর্বা এক্সপ্রেস শনিবার ভয়ঙ্কর শব্দ করে লাইনচ্যুত হয়ে গেল কানপুরের কাছে। মোট ১২'টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। আহত হয়েছেন ১৩ জন যাত্রী। এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর নেই। কানপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের রুমা গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। শনিবার রাত ১'টা নাগাদ। ট্রেনটি তখন প্রয়াগরাজ থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর বেশিরভাগ কামরাই উল্টে যায় অথবা দুমড়েমুচড়ে যায়। উদ্ধারকার্যে কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের তৎপরতায় অনেকের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে খানিকক্ষণের মধ্যেই চলে আসে ১৫'টি অ্যাম্বুলেন্স ও সেনা। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
তিহার জেলের বন্দির কাঁধে শিক দিয়ে 'ওঁ' লেখার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
সংবাদসংস্থা এএনআই'কে ভারতীয় রেলের মুখপাত্র স্মিতা বৎস শর্মা বলেন, একটি অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন ও চিকিৎসার সমস্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে গিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। এই দুর্ঘটনার ফলে ওই রুটে ট্রেন চলাচল দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয়।
পূর্ব ভারত থেকে দিল্লি যাওয়া সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনকেই মাঝপথে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় বহুক্ষণ ধরে। এই মুহূর্তে উদ্ধারকার্যে তদারকি চালাচ্ছে পুলিশ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪৫ জনের একটি দলও উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই'কে কানপুরের জেলাশাসক বিজয় বিশ্বাস পন্থ জানান, “উদ্ধারকার্য এখনও চলছে। কোনও মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত আসেনি। কানপুর সেন্ট্রালে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা কানপুর থেকে দিল্লিগামী একটি ট্রেনের খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা করছেন যাত্রীদের জন্য”।