মুখ্যমন্ত্রী আবেদন, “সংঘর্ষ ছেড়ে দিন। আপনাদের এলাকায় কোনও বহিরাগত শান্তি নষ্ট করতে গেলে পুলিশে খবর দিন”।
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে সংঘর্ষ নিয়ে পুলিশের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), এবং আবেদন জানালেন, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষের (Delhi Clash) ঘটনা থেকে যাতে হিন্দু বা মুসলিম, কোনও সম্প্রদায়ই যাতে বিশেষ সুবিধা পা সংঘর্ষ থেকে ফায়দা তুলতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার আবেদন জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সংঘর্ষে সবার ক্ষতি হয়েছে। ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে পুলিশেরও। সংঘর্ষে আহতদের তালিকা রয়েছে আমার কাছে। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রায়ের মানুষই আহত হয়েছেন, উভয়েই আক্রান্ত হয়েছেন”। তিন আরও বলেন, “এখন দিল্লিতে দুটি বিকল্প রয়েছে, মানুষকে এক হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে, নাহলে তারা একে অন্যকে আক্রমণ এবং মারবে। মৃতদের স্তুপের ওপরে আধুনিক দিল্লি তৈরি সম্ভব নয়। ঘৃণা, সংঘর্ষ, ঘরবাড়ি জ্বালানোর রাজনীতি বরদাস্ত করা যাবে না”।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানোর দাবি তোলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উত্তপ্ত এলাকায় কারফিউ জারির দাবিও তোলেন তিনি।
"বিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে যারা, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর," দিল্লি হিংসায় নির্দেশ হাইকোর্টের
দিল্লিবাসীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আবেদন, “সংঘর্ষ ছেড়ে দিন। আপনাদের এলাকায় কোনও বহিরাগত শান্তি নষ্ট করতে গেলে পুলিশে খবর দিন”।
পুলিশের বিরুদ্ধে দিল্লিতে সংঘর্ষে নানান অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, কোনও পুলিশকর্মীকে সংঘর্ষকারীদের সাহায্য করার প্রমাণ পেলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “যখন ঘটনাস্থল থেকে আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, তারা জানিয়েছে, তাদের শীর্ষ মহলের নির্দেশ নেই...যদি কোনও পুলিশকর্মী সংঘর্ষকারীদের সাহায্য করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন,. “দিল্লির মানুষকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনাদের জীবন আমাদের দায়িত্ব। আপনারা আমাদের দায়িত্ব...ভালবাসার মধ্যে থাকতে চান দিল্লির বাসিন্দারা। সৌভ্রাতৃত্বের মধ্যে বাস করেন সব ধর্মের মানুষ। আমাদের শিশুদের সঠিক ভাবে মানুষ করতে হবে, দৈনন্দিন অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান করতে হবে”।
উত্তর পূর্ব দিল্লির দায়িত্বে অজিত দোভাল, পরিস্থিতি জানালেন অমিত শাহকে
চারদিন আগে নাগরিকত্ব আইনে পক্ষে ও বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়, এখনও পর্যন্ত সেই সংঘর্ষে ২০০ জন আহত হয়েছেন। দোকানপাট, বাড়ি, এবং পেট্রোলপাম্প জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বুধবার তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “পুরো রাত আমি অনেক মানুষের সঙ্গে ছিলাম। পরিস্থিতি বিপজ্জনক। সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং মানুষের মনোবল বাড়াতে ব্যর্থ পুলিশ। সেনাবাহিনী নামানো উচিত এবং সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় কারফিউ জারি করা উচিত”।