দিল্লিতে রবিবার থেকে হিংসায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ২০০ জন।
নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব আইনের ( Citizenship Law) বিরুদ্ধে রবিবার থেকে দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া হিংসার (Delhi Violence) তদন্তে দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team) গঠন করা হয়েছে, ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ২০০ জন। তদন্তকারী দলে রয়েছেন, দুজন ডেপুটি কমিশনার, তাঁরা নিজেদের তদন্তকারী দল নিয়ে গত পাঁচদিন ধরে দিল্লিতে লাগাতার সংঘর্ষের তদন্ত করবেন। দিল্লির রাস্তায় হাতে লোহার রড, লাঠি, বন্দুক নিয়ে আস্ফালন করতে এবং ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীদের। এখনও পর্যন্ত দিল্লির হিংসায় ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৪৮টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সংঘর্ষের ঘটনায়, এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
পাশাপাশি তারা আরও জানিয়েছে, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে দেরি হওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে এবং ভর্ৎসনা করে দিল্লি হাইকোর্ট।
সংঘর্ষে ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ৫০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাসকে কাজে লাগিয়ে হিংসা সংগঠিত করা হয়েছে।
দিল্লিতে সংঘর্ষের জেরে দিল্লির বিভিন্ন এলাকা পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে, উত্তর পূর্ব দিল্লি এবং অন্যান্য বিভিন্ন সংঘর্ষ কবলিত জায়গায় বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করেছে সিবিএসই।
বুধবার দিল্লিতে সংঘর্ষ নিয়ে প্রথম মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, “শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের” আবেদন জানিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগের পর, একাধিকবার পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের আবেদন জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।