Delhi: আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফেরাতে অমিত শাহকে অনুরোধ করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
হাইলাইটস
- দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি
- শান্তি ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাহায্য চাইলেন কেজরিওয়াল
- ট্রাম্পের সফরকালেই দিল্লির এই সিএএ বিক্ষোভে অস্বস্তিতে মোদি সরকার
নয়া দিল্লি: উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঠিক এই সময় অমিত শাহের কাছে সাহায্যের আবেদন জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে" অনুরোধ জানালেন আপ প্রধান (Arvind Kejriwal)। দিল্লির (Delhi) মৌজপুরের পরে ভজনপুরা এলাকাতেও সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। বিক্ষোভকারীরা ওই অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ চলাকালীন এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয় বলেও খবর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আধাসামরিক বাহিনী। জানা গেছে যে, সিএএর প্রতিবাদে দিল্লির মৌজপুর মেট্রো স্টেশন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও করা হয়। এই ঘটনাকে “অনভিপ্রেত সংবাদ” বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি বার্তা দিলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী। "আইন শৃঙ্খলা ফেরান, শান্তি নিশ্চিত করুন", এমনটাই টুইট করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
উত্তরপূর্ব দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ সংলগ্ন এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ
"দিল্লির কিছু অংশ থেকে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার এবং সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার খবরে খুবই মন খারাপ হচ্ছে। আমি মাননীয় লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি এখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে এলাকার শান্তি এবং সৌহার্দ্য বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে। এই ধরণের কাজ কোনও কারণেই মেনে নেওয়া উচিত নয়", টুইট করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মহাত্মা গান্ধির ৩ বাঁদরের সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয় করালেন মোদি, শোনালেন গল্প
সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা ও মৌজপুরের কাছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী একটি মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সেই সময় পুলিশের বচসা বেঁধে যায়। এদিকে রাস্তা ফাঁকা করতে হাজির হয় বিজেপি অনুগামীরা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বচসা বাঁধে। দুই পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়ছুড়ি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। উত্তেজনার জেরে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় বলে খবর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরকালেই দিল্লির এই সিএএ বিক্ষোভে অস্বস্তিতে মোদি সরকার।