This Article is From Apr 11, 2020

লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ঠিক কী কী পরামর্শ দিলেন কেজরিওয়াল?

Coronavirus: "লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গোটা দেশেই প্রয়োগ করা উচিত", বললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ঠিক কী কী পরামর্শ দিলেন কেজরিওয়াল?

Coronavirus: ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

হাইলাইটস

  • লকডাউনের মেয়াদ অন্ততপক্ষে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো উচিত
  • প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়ে বললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
  • কেন্দ্রের তরফেই সারা দেশে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো উচিত, বলেন তিনি
নয়া দিল্লি:

১৪ এপ্রিলের পর দেশ থেকে লকডাউন (Coronavirus Lockdown) তুলে দেওয়া নয়, বরং আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত একই অবস্থা জারি রাখার পক্ষেই সওয়াল করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ (শনিবার) লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া ওই বৈঠকে যোগ দেন কেজরিওয়ালও। তিনি (Arvind Kejriwal) প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন বাড়ানোর ভাবনাতে সম্মতি জানান। ওই বৈঠকে প্রায় প্রত্যেকেই সহমত হন যে, করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে লকডাউন করে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল একথাও বলেন যে, "লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গোটা দেশেই প্রয়োগ করা উচিত এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রেরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত"। "যদি রাজ্যগুলো নিজেদের মতো লকডাউনের মেয়াদ কতদিন হবে তা নির্ধারণ করে, তবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই কার্যকর হবে না", বলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কোনওভাবেই রেল, সড়ক বা বিমান পরিষেবা আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চালু করা উচিত নয়, এই পরামর্শও দেন তিনি।

"আমি ২৪x৭ সজাগ রয়েছি": করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীদের বললেন প্রধানমন্ত্রী

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত এখন মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট ১,৩৬৪ জন আক্রান্ত ওই রোগে। তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু।

বর্তমানে গোটা দেশে লকডাউন জারি থাকার ফলে রেল, বিমান বা সড়ক পরিবহণ, কোনওটাই চালু নেই। ঘরবন্দি হয়েই রয়েছেন সাধারণ মানুুষ। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা বাদে দেশের আর সমস্ত কিছুই বন্ধ রয়েছে।

করোনার ছড়িয়ে পড়া রুখতে রাজ্যের ১০ টি অঞ্চলকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করল সরকার

এখনও পর্যন্ত এদেশে করোনার শিকার ২৩৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টাতেই নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১,০৩৫ জন, আর প্রাণহানি হয়েছে ৪০ জনের। সব মিলিয়ে মোট ৭,৪৪৭ জন আক্রান্ত COVID- 19 এ। 

এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি সকলকেই আশ্বস্ত করেন এই বলে যে তিনি সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে প্রস্তুত। "আমি ২৪x৭ সজাগ রয়েছি": করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীদের বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

.