Delhi: গত মাসে নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান অরবিন্দ কেজরিওয়াল
হাইলাইটস
- মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
- তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম সাক্ষাৎ তাঁদের
- দিল্লির হিংসাত্মক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আলোচনা হয় ওই বৈঠকে
নয়া দিল্লি: দেশের রাজধানীতে গত সপ্তাহে যে হিংসা-হানাহানির ঘটনা ঘটেছে, তার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাঁদের "বাঁচানো উচিত নয়",মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির(Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের পর এমন বার্তাই দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি (Arvind Kejriwal) বলেন, "আমি ওনাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) বলেছি যে আমাদের দেশের রাজধানীতে আবারও যাতে এ জাতীয় পরিস্থিতি (Delhi Violence) তৈরি না হয় সে ব্যাপারেই সকলেরই সচেষ্ট হওয়া উচিত। সংঘর্ষের জন্য যারা দায়ী - তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের বাঁচানো উচিত নয়, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদনই জানিয়েছি"। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টা নাগাদ সংসদ ভবনে এই বৈঠকটি হয়। তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী । গত মাসেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্যে সেখানে ক্ষমতায় এসেছে আম আদমি পার্টির সরকার।
সম্প্রতি হিংসায় উত্তাল হয়েছে দিল্লি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-কে নিয়ে যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ গড়ায় হানাহানিতে। হিংসার জেরে প্রাণ হারান ৪০ এরও বেশি মানুষ এবং আহত হন দুই শতাধিক। উত্তর-পূর্ব দিল্লির এই সহিংসতার ঘটনায় এখন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে রাজধানীর সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতির পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করে দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের (Delhi CM) এই বৈঠক করলেন।
বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদনে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
গত সপ্তাহে দিল্লির এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে কেজরিওয়াল সাক্ষাৎ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের শেষে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অমিত শাহ সবরকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের সকলকে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে"।
দিল্লি হিংসা নিয়ে সংসদে তুলকালাম! প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, দেখুন ১০টি তথ্য
"এছাড়াও, আমরা করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছি। একটি কেস দিল্লিতে, অন্যটি তেলেঙ্গানার। এই মারাত্মক রোগটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে", তাই এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, " বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়নি।"
অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কয়েকজন বিজেপি নেতার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণেই দিল্লিতে এই ধরণের হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এই দাবি করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লি হিংসার বলি মানুষজনের পরিবার। আগামী বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি হবে।