Read in English
This Article is From Apr 16, 2020

দিল্লিতে করোনায় মৃত ব্যক্তি, সংক্রমণের দায়ে অভিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীর ফল নেগেটিভ

 পরিবারটির অভিযোগ ছিল, ওই নিরাপত্তা রক্ষী তাবলিগি জামাতের জমায়েতে গিয়েছিলেন গত মাসে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

অভিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে ছিলেন।

নয়াদিল্লি:

দিল্লির (Delhi) ডিফেন্স কলোনির এক পরিবারের ৩ জনের শরীরে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ ঘটানো এক নিরাপত্তা রক্ষীর শরীরে করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে বলে NDTV জানতে পেরেছে। আক্রান্ত পরিবারের ৩ সদস্য সাকেত-এর ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ৮০ বছরের ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁর পুত্র রয়েছেন ভেন্টিলেটরে। ওই ব্যক্তির স্ত্রী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারটির অভিযোগ ছিল, ওই নিরাপত্তা রক্ষী তাবলিগি জামাতের জমায়েতে গিয়েছিলেন গত মাসে। তাঁকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। অবশেষে জানা গিয়েছে, তিনি করোনা নেগেটিভ। প্রসঙ্গত, তাবলিগি জামাতের জমায়েতকে দেশের করোনা সংক্রমণের অন্যতম কেন্দ্র বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীর মোবাইল ফোনের রেকর্ড বলছে, তিনি নিজামুদ্দিনের ওই সমাবেশে গিয়েছিলেন। পুলিশের তরফে ওই কলোনাতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ওই নিরাপত্তা রক্ষী সম্ভবত নিজামুদ্দিনে গিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপেও মেসেজ পাঠানো হয়েছে।

তবে এতদিন এটা জানা যায়নি ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা হয়েছিল কিনা। জানা গিয়েছিল, পুলিশ তাঁকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেছিলেন, তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

NDTV অভিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওখলার এক কামরার বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকেন। সেখানেই কোয়ারান্টাইনে ছিলেন তিনি। ১০ এপ্রিল তাঁর পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায় তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ নেই।

ফোনে ওই রক্ষী জানাচ্ছেন, ‘‘ওঁরা বলেছেন আমি নেগেটিভ। তাই আমার উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।''
তিনি দাবি করেছেন, তিনি কখনও নিজামুদ্দিনে যাননি। বরং বাড়ি থেকে ২০ কিমি দূরের এক মসজিদে যেতেন। 
এক পুলিশ আধিকারিক NDTV-কে জানিয়েছেন, ‘‘যে আপডেট আমরা হাসপাতাল থেকে পেয়েছি, তা থেকে জানা যাচ্ছে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।''

Advertisement

তবে ডিপেন্স কলোনির থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রিপোর্ট এখনও আসেনি।

Advertisement