হাইলাইটস
- বেসরকারি স্কুলগুলোকে সতর্ক করে বার্তা পাঠালেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী
- "এক মাসের বেশি ফি নেওয়া যাবে না। বাড়ানো যাবে না বার্ষিক ফি"
- এই ধরনের একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করেন মণীশ সিসোদিয়া
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ আর লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) আবহে অভিভাকদের সুরাহা দিতে উদ্যোগ নিল দিল্লি সরকার। শুক্রবার রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia on School Fees) শিক্ষাখাতে একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণায় বলা, "বেসরকারি স্কুল বার্ষিক ফি বাড়াতে পারবে না। নিতে পারবে না একমাসের বেশি মাসিক ভাতা। পাশাপাশি মকুব করতে হবে পরিবহণ ভাতা।" এদিন অনলাইনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মণীশ সিসোদিয়া। তিনি দিল্লি সরকারের (Kejariwal Government) শিক্ষামন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্বে। এই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বেসরকারি স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেন, "আমাদের কাছে এই স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে। এখন স্কুল বন্ধ, তাও নেওয়া হচ্ছে পরিবহণ খাতে ফি। সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বার্ষিক ফি। কেউ কেউ আবার তিন মাসের ফি পরিশোধে বাধ্য করছে অভিভাবকদের।" তাঁর আরও দাবি, "যে সব অভিভাবকরা টিউশন ফি দিতে পারছেন না, সেই পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।তাই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন এসব বন্ধ করতে হবে। সরকারি জমিতে চলা বেসরকারি স্কুল কিংবা নিজস্ব জমিতে চলা বেসরকারি স্কুল; সব স্কুলকেই এই সিদ্ধান্ত মানতে হবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে বাড়াতে পারবে না বার্ষিক ফি।"
লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিলের পর আরও কোন কোন বিষয়ে মিলবে ছাড় জেনে নিন
উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ, "সব পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাইয়ে দিতে হবে। কোনও অভিভাবক টিউশন ফি দিতে না পারলে, সেই পড়ুয়াকে বঞ্চিত করা যাবে না। তিন মাসের ভাতা নেওয়া চলবে না। নিতে হবে একমাসের ভাতা।" তিনি স্পষ্ট করেছেন, "আর্থিক সঙ্কটের দোহাই দিয়ে কোন স্কুলকর্মীর বেতন কাটা চলবে না। নির্ধারিত হারেই বেতন মিটিয়ে দিতে হবে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের।" এদিন মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, এই সংক্রমণ আর লকডাউনের জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত অর্থনীতি আর স্কুলশিক্ষা। দীর্ঘদিন বন্ধ পঠনপাঠন। স্থগিত একাধিক পর্ষদ অনুমোদিত পরীক্ষা। এই সময়ে বেসরকারি স্কুলগুলোর এহেন আচরণে রাশ টানতে সরকারি এই সিদ্ধান্ত।
আরবিআইয়ের পদক্ষেপের ফলে ঋণ সরবরাহে উন্নতি হবে, কৃষক ও দরিদ্ররা সাহায্য পাবে: প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন চলবে। তবে তার মধ্যেই বিরাট আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র। একটি অভ্যন্তরীণ সরকারি মূল্যায়ন থেকে জানা গেছে যে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি হবে। তবে তারপরেই ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ কমবে বলেও আশা রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা তাঁদের মতে, দেখা গেছে যে দেশগুলোই করোনা ভাইরাসকে রুখতে প্রথম থেকেই পুরোপুরি লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে তারাই ভাল ফল পেয়েছে। ভারতও ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। তাতে দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়লেও বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা সংক্রমিতের দ্রুতগতিতে বৃদ্ধিতে অনেকটাই রাশ টানা গেছে।