দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সব সময়েই সমাজসেবা করতে ব্যস্ত থাকেন, বলেন Harshita Kejriwal
হাইলাইটস
- বাবা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়ালেন তাঁর মেয়ে হর্ষিতা কেজরিওয়াল
- বিজেপির বিরুদ্ধে কুরুচিকর রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন তিনি
- "অভিযোগ না উন্নয়ন, কিসের উপর বিচার করে ভোট দেবেন তা মানুষই ঠিক করবেন"
নয়া দিল্লি: এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মেয়ে হর্ষিতা কেজরিওয়ালের তোপের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে (Arvind Kejriwal) "সন্ত্রাসবাদী" আখ্যা দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এই ধরণের কথা আসলে ওই দলের নিম্ন রুচির পরিচয় বলেই মনে করেন অরবিন্দ-কন্যা (Harshita Kejriwal)। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন (Delhi Elections), তার আগে রাজধানীর মসনদ দখলের লক্ষ্য নিয়ে উঠেপড়ে প্রচারে লেগেছে বিরোধী দল বিজেপি। দিল্লি নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির হয়ে প্রচার চালানোর সময় সম্প্রতি বিজেপি নেতা পরবেশ বর্মা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে "সন্ত্রাসবাদী" বলে উল্লেখ করেন। এই বিষয়টি নিয়ে কেজরিওয়ালের মেয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ২৪ বছরের ওই তরুণী পাল্টা প্রশ্ন, "ওঁরা বলেন যে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে, অথচ ওঁরা নিজেরাই প্রতিদিন কুরুচিকর রাজনীতির নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কি সন্ত্রাসবাদ? শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা কি সন্ত্রাসবাদ? বিদ্যুৎ ও জল পরিষেবার উন্নয়নে কাজকে কি সন্ত্রাসবাদ বলা যায়?"
এর আগে NDTV-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রায় একই সুরে কথা বলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তিনি বলেন, "আমি কীভাবে একজন সন্ত্রাসবাদী হই? কীভাবে ওঁরা আমাকে একজন সন্ত্রাসবাদী বলে উল্লেখ করতে পারেন? দিল্লির জনগণের সেবা করার জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। আমি তাঁদের পরিবারের বড় ছেলে হিসাবে কাজ করেছি। ওঁরা যাতে নিখরচায় জল, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পান সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। যাতে তাঁরা ভাল স্কুল এবং হাসপাতালের সুযোগসুবিধা পান তার জন্যে কাজ করেছি, এখন আমার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা ঠিক করবেন দিল্লির মানুষ"।
Arvind Kejriwal to NDTV: "অমিত শাহ শাহিনবাগকে ইস্যু করেই দিল্লির নির্বাচন লড়তে চান, এর সমাধান চান না"
২৫ জানুয়ারি বিজেপি নেতা পরবেশ বর্মা একটি জনসভায় বলেন, “যদি কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় আসে, তাহলে শাহিনবাগে যারা বসে আছে, তারাই রাস্তার দখল নেবে।” তিনি প্রশ্ন করেন, “আমরা কাশ্মীরে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করব? নাকি কেজরিওয়ালের মতো সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে লড়ব?”। যদিও আপত্তিকর মন্তব্য করায় নির্বাচন কমিশন চারদিনের জন্য তাঁর প্রচার নিষিদ্ধ করে দেয়।
সোমবার ফের বিজেপি নেতা পরবেশ বর্মার কথারই পুনরাবৃত্তি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “দিল্লির ভোটাররা যে কেজরিওয়ালের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কেজরিওয়াল খুব নিরীহ মুখ করে মানুষকে বলছেন, আমি কি সন্ত্রাসবাদী? আমি বলছি, আপনি একজন সন্ত্রাসবাদী। তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। আপনি নিজেই বলেছেন, নৈরাজ্যবাদে বিশ্বাস করেন। নৈরাজ্যবাদী আর সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে খুব একটা তফাৎ নেই।”
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘হনুমান চালিশা' পাঠকে ব্যঙ্গ যোগী আদিত্যনাথের
বিজেপি নেতাদের লাগাতার আক্রমণের মুখে বাবার পাশে দাঁড়ালেন হর্ষিতা কেজরিওয়াল। তিনি বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, "ওঁরা অভিযোগ করতে থাকুন, ওঁরা চাইলে ২০০ জন সাংসদ এবং ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রচারে আনুন। তবে মনে রাখবেন ২ কোটি সাধারণ মানুষও (আপের হয়ে) প্রচার চালাচ্ছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বোঝা যাবে যে তাঁরা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ভোট দিয়েছেন নাকি উন্নয়ন দেখে ভোট দিয়েছেন"।