Delhi Assembly Elections 2020: প্রায় ২,৭০০টি ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়
হাইলাইটস
- দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোটার ১.৪৭ কোটি
- অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপকে ক্ষমতাচ্যূত করতে চায় বিজেপি
- ভোটে উচ্চগ্রামে প্রচার হয়, চলে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগের আক্রমণ
নয়াদিল্লি:
শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের এক্জিট পোলে ইঙ্গিত মিলেছে, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাশাপাশি গতবারের চেয়ে বিজেপির ভাল ফলের ইঙ্গিত মিলেছে। দুই দলই তাদের অভ্যন্তরীণ বৈঠক ডেকেছে, ভোটযন্ত্র বা ইভিএম এর নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক ডেকেছে আম আদমি পার্টি এবং নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে অভ্যন্তরীণ বৈঠক ডেকেছে আম আদমি পার্টি। প্রথমে এদিন ভোটের হার ধীর থাকলেও পরে গতি আসে ভোটদানে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানে ৫৭ শতাংশ ভোটদানের ঘোষণা হয়, গতবারে তা ছিল ৬৭.৫ শতাংশ, তবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, এটা “বাড়তে চলেছে”। গতবার দিল্লিতে ৩টি আসনে জিতেছিল বিজেপি, আপ পেয়েছিল ৬৭টি আসন, ৪০ জন তারকা প্রচারক নামিয়েছিল কেন্দ্রের শাসকদল। গতবার দিল্লি বিধানসভা খাতা খুলতে না পারা কংগ্রেসের প্রচার ছিল জৌলুসহীন।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত ১০টি তথ্য এখানে:
পাঁচটি এক্জিট পোলের গড়ে দেখা গিয়েছে, ৫৬টি আসনে জিততে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, ২০১৫ তে পাওয়া আসনের থেকে কম। দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩৬টি আসন। ১৪টি আসন পেতে পারে বিজেপি। তবে কখনও এক্জিট পোল ভুলও হতে পারে।
এক্জিট পোলে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির জয়ের ইঙ্গিত মেলার পরেই, দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত হন দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং দিল্লি বিজেপি নেতারা।
একইভাবে বৈঠক ডাকেন আপ সু্প্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও, উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
মনোজ তিওয়ারি ট্যুইট করেন, এই সমস্ত এক্জিট পোল ব্যর্থ হবে। এই ট্যুইট সেভ করে রাখুন। ৪৮টি আসন পেয়ে দিল্লিতে সরকার গড়বে বিজেপি। ইভিএম কে দোষ দেওয়া বা কোনও অজুহাত খুঁজবেন না”।
২০১৫ ফলাফলের পুনরাবৃত্তির কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভোট ময়দানে নামে শাসক দল আপ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারের কাজ তুলে ধরে তারা। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং জলের ব্যবস্থা এবং শহরের স্কুলগুলির উন্নয়ন ও মহল্লা ক্লিনিক তৈরির মতো পদক্ষেপগুলি তুলে ধরা তারা।
উচ্চগ্রামে প্রচার চালায় বিজেপি, গতবার লোকসভায় দিল্লির ৭টি আসনের ৭টিতেই বিজেপির জয়ে মনে হয়েছিল ফলাফল বিজেপির পক্ষে যাবে, ক্ষমতাচ্যূত হবেন কেজরিওয়াল। তাদের তরফে এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে “জঙ্গি” বলে তোপ দেগেছে তারা, ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং “দেশদ্রোহী”দের সঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
১৫ বছর দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস, তারপরে আপের কাছে পরাজিত হয় তারা, অনেকটা জৌলুসহীন প্রচার তালায় কংগ্রেস। দলের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভঢ়রাকে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দুমাস আগে ব্যপক প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, আইনটিকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং তা মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেশজনকও বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর “বিশ্বাসঘাতক”দের গুলি করার “নিদান” দেন, তারপরেই সেখানে গুলি চলে। শাহিনবাগে বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে ভোট প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
২০১৫ বিধানসভা ভোটে আপ পেয়েছিল ৫৪.৩ শতাংশ ভোট, ৩২ শতাংশ পেয়েছিল বিজেপি এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ৯.৬ শতাংশ ভোট। ২০১৫ নির্বাচনে ৬৭টি আসনে জিতেছিল আম আদমি পার্টি, তারমধ্যে উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে একটি আসন হারায় আপ, এবং অন্য দলে যোগ দেওয়ায় ৬ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করা হয়।
Post a comment