জয়ের জন্য আম আদমি পার্টিকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly election) আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) ব্যাপক জয়ের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ট্যুইট করেন, “দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য আম আদমি পার্টি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালজীকে অভিনন্দন। দিল্লির মানুষের প্রত্যাশা পূরণে তাদের শুভ কামনা জানাই। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লেখেন, “ধন্যবাদ আপনাকেও। আমাদের রাজধানী শহরকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে কেন্দ্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই”।
৬০টির বেশি আসন পেতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি---২০১৫ নির্বাচনে কারা পেয়েছিল ৬৭টি আসন। ৫৫টির কাছাকাছি আসনে জেতার প্রত্যাশা থাকা বিজেপি ১০ এর কম আসন পেতে পারে। অনেক বিরোধী দলই এই জয়কে বিভাজনের রাজনীতির পরাজয় বলে মন্তব্য করেছে।
নির্বাচনের প্রচারে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শাহিনবাগের বিক্ষোভকে সমর্থনের অভিযোগ তোলে বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথ, বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের বিরিয়ানি দিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও, দিল্লির একটি সভায় তিনি বলেন, “এটা সিলামপুর হোক বা শাহিনবাগ, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদ হচ্ছে আপনারা কি মনে করেন এই প্রতিবাদ নিছকই ঘটনা মাত্র? না সেটা নয়। এগুলো সমস্ত রাজনীতির গবেষণা। যদি শুধুমাত্র আইনের ব্যাপার হত, তাহলে শেষ হত”।
যদিও বিক্ষোভের থেকে নিজের দূরত্ব বুঝিয়ে দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। NDTV তে এক সাক্ষাৎকারে তিনি শাহিনবাগের রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ জানান। তাঁর কথায়, “তিনি খুবই ক্ষমতাবান। তিনি কি রাস্তাটি মুক্ত করে দিতে পারেন না”?
দিল্লি নির্বাচনে আম আদমি পার্টির জয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাদের সমস্ত কিছু অর্থ, এবং এজেন্সি দিয়েও কিছু করতে পারেনি বিজেপি। তারা পুরোপুরি তলিয়ে গিয়েছে। ভারতজুড়ে, তাদের সাম্রাজ্য ডুবছে”।
দিল্লির জয়কে “নতুন ধারার রাজনীতি”র আমদানি বলে ব্যাখা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিনি বলেন, “দিল্লিবাসী বার্তা দিয়েছেন যে, তাঁরা স্কুল, মহল্লা ক্লিনিক, ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ ও বিনামূল্যে জলের পক্ষে ভোট দেবেন। দেশের জন্য একটা একটা বড় বার্তা”।