Read in English
This Article is From May 06, 2020

কোয়ারান্টাইন করে রাখার পর ৪,০০০ তাবলিগি জামাত সদস্যকে মুক্তি দিল সরকার

তবে দিল্লি সরকার জানিয়েছে, "মার্কাজ" নিজামউদ্দিনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের তালিকায় যে জামাত সদস্যদের নাম রয়েছে তাঁদের পাঠানো হবে পুলিশ হেফাজতে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from Agencies)

Coronavirus Delhi: তাবলিগি জামাত করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মার্চ মাসে একটি জমায়েত করে

Highlights

  • দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ থেকেই করোনা ভাইরাস বেশি করে ছড়ায়
  • অভিযোগ, তাবলিগি জামাত সদস্যরাই বাহক হিসাবে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় অন্যদের
  • করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৪ হাজারেরও বেশি জামাত সদস্যকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়
নয়া দিল্লি:

৪ হাজারেরও বেশি তাবলিগি জামাত (Tablighi Jamaat) সদস্যকে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) ছড়ানোর আশঙ্কায় বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়ারান্টাইনে রেখেছিল দিল্লি সরকার। কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে থাকার মেয়াদ সম্পূর্ণ করায় এবার তাঁদের মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করলেন দিল্লির (Delhi) স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। জানা গেছে, ওই সদস্যদের কারোর মধ্যেই করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা না যাওয়াতেই তাঁদের নিজেদের বাড়ি যেতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। তবে মন্ত্রী একথাও বলেছেন যে, মার্চ মাসে ওই ৪ হাজার সদস্যের মধ্যে "মার্কাজ" নিজামউদ্দিনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের তালিকায় যে জামাত সদস্যদের নাম রয়েছে তাঁদের কিন্তু মুক্তি দেওয়া নয়, সরাসরি পাঠানো হবে পুলিশ হেফাজতে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুসারে কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে যাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জন হলেন দিল্লিরই বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই হয় তামিলনাড়ু নয় তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। দিল্লির জামাত সমাবেশে যোগ দিয়েই ওই দু'টি রাজ্যের বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তবে দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই ওই দুটি রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের ফেরানোর জন্যে পরিবহণের ব্যবস্থা করার কথা বলেছে।

চাপ বাড়ানো হচ্ছে তাবলিগি জামাতের প্রধান মৌলানা সাদের উপরে, তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

তাবলিগি জামাত নামে ওই ইসলামি সম্প্রদায় মার্চ মাসে দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় সামাজিক দূরত্বের বাধানিষেধের তোয়াক্কা না করেই একটি ধর্মীয় সমাবেশ করে। বহু বিদেশি সহ হাজার হাজার মানুষ ১০০ বছরের পুরনো ওই মসজিদ এলাকায় জড়ো হয় এবং কয়েকশো লোক সেখানে বেশ কিছুদিন থেকেও যায়। অভিযোগ, এরপরেই ওই সমাবেশে যোগদানকারীদের শরীর থেকেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে মারণ ভাইরাস কোভিড- ১৯।

Advertisement

জামাত সদস্যরা যখন সারা দেশে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যায় তারপরেই ১,৫০০ এরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। অনেক জামাত সদস্য নিজেরাও স্বীকার করে যে, তাঁদের মাধ্যমেই সারা দেশে মারণ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে গত সোমবারই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, যে জামাত সদস্যদের জন্যে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

করোনাকে রুখতে রাজ্যে ৬৮ টি হাসপাতালে ৮৫৩৬ শয্যা বরাদ্দ, আইসিইউতে ৮০৬ টি

Advertisement

"উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য জায়গাগুলিতে যেখানে যেখানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তার নেপথ্যে যোগ আছে তাবলিগি জামাত সদস্যদের। তাঁরা যদি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি লুকিয়ে না রাখতো এবং করোনা বাহকের মতো এটি ছড়িয়ে না দিত তবে সম্ভবত আমরা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম", বলেন যোগী।

এদিকে এই ঘটনার পরেই তাবলিগি জামাতের প্রধান মৌলানা সাদকে নোটিশ দেয় দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে করোনার পরীক্ষা করিয়েছেন কিনা। আর যদি করিয়ে থাকেন, তাহলে এখনও কেন সেই রিপোর্ট জমা দেননি অপরাধ দমন শাখায়। ওই রিপোর্ট হাতে পেলে তা খতিয়ে দেখে তবেই সাদের বিষয়ে পরবর্তী তদন্তের কাজ শুরু করা হবে। এর আগে যদিও মৌলানা সাদ দাবি করেন, তিনি দু'বার করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। দু'বারই পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। লাল প্যাথোলজি থেকে তিনি ওই পরীক্ষা করিয়েছেন।

Advertisement