This Article is From May 28, 2020

পঙ্গপাল হামলার সতর্কবার্তা দিল্লি সরকারের, বাগানে ছড়ানো হবে কীটনাশক

সম্প্রতি ভারতে মরু পঙ্গপালের উপদ্রুব দেখা দিয়েছে। প্রথম রাজস্থানে হানা দেয় এই পঙ্গপাল, এখন তারা ছড়িয়েছে পঞ্জাব, গুজরাট মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে

পঙ্গপাল হামলার সতর্কবার্তা দিল্লি সরকারের, বাগানে ছড়ানো হবে কীটনাশক

মরু পঙ্গপালকে সবচেয়ে ক্ষতিকারক ধরা হয় (প্রতীকি ছবি)

নয়াদিল্লি:

বৃহস্পতিবার রাজ্যে সম্ভাব্য পঙ্গপালের হানার (Locust Attack) সতর্কতা জারি করল দিল্লি সরকার এবং শষ্য, সবজি, বাগান ও ফুল গাছে কীটনাশক ছড়ানোর জন্য বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। সম্প্রতি ভারতে মরু পঙ্গপালের উপদ্রুব দেখা দিয়েছে। প্রথম রাজস্থানে হানা দেয় এই পঙ্গপাল, এখন তারা ছড়িয়েছে পঞ্জাব, গুজরাট মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে। দিল্লি কৃষি দফতরের আধিকারিক এপি সাইনি একটি নির্দেশিকায় বলেন, “যেহেতু দিনে উড়ে বেড়ায়, এবং রাতে বিশ্রাম নেয়, তাদের রাতে বিশ্রাম নিতে দেওয়া যাবে না”। মরু পঙ্গপালের হানা থেকে চারা কে রক্ষা করতে নার্সারিগুলি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছে দিল্লির বন দফতদর।

দিল্লির বন দফতরের এক আমলা ঈশ্বর সিং বলেন, “গাছগুলিকে ঢেকে দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা অন্তত নার্সারিতে চারাগুলিকে ঢেকে দিতে পারি”।

পরিযায়ী সংকটে কিছু লোকের নেতিবাচক মানসিকতাকেও দায়ী করল কেন্দ্র

আধিকারিকরা জানান, “এই গরমেও চারাগুলিকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া ভাল হবে। ফলে, আমরা যখন নিশ্চিত হব যে, পঙ্গপালের ঝাঁক দিল্লি আসছে, তখনই এটা করব”।

মহারাষ্ট্রে, বিদর্ভ অঞ্চলে ফসল নষ্ট হয়েছে। কমলালেুব এবং সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে নাগপুরহ  ও ওয়ার্ধায়। ট্রাক চালিত স্প্রেয়ার ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে কীটনাশক ছড়ানো হয়েছে জমিতে।

পঙ্গপালের একটি ঝাঁক ১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা, শনিবার রাতে তারা প্রথমে নাগপুর এবং ওয়ার্ধা পৌঁছায়।

২৭ বছরে সবচেয়ে বড় পঙ্গপাল হানার সম্মুখীন মহারাষ্ট্র, এবং বর্ষা পর্যন্ত তা বাড়তে পারে। নিমুচ দিয়ে তারা সে রাজ্যে ঢুকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতে চার প্রজাতির পঙ্গপাল দেখা যায়, মরু পঙ্গপাল, পরিযায়ী পঙ্গপাল, বম্বে পঙ্গপাল এবং গেছো পঙ্গপাল। তারমধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক মরু পঙ্গপাল।

কষ্টের মধ্যেও "প্রথম বিমানে চড়ার আনন্দ", কিছুক্ষণের জন্যে আত্মহারা পরিযায়ী শ্রমিকরা

তারা খুব দ্রত বাড়ে এবং একদিনে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যায়।

ফড়িং এর মতো দেখতে এই পতঙ্গটি তাদের দেহে ওজনের থেকে বেশি খাবার খেতে পারে। এক বর্গকিলোমিটার পঙ্গপালের ঝাঁকে ৪০ মিলিয়ন পঙ্গপাল থাকে, তারা একদিনে ৩৫,০০০ মানুষের খাবার খায়।

এইভাবে পঙ্গপালের পিছনে জয়বায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, মাটির আদ্রর্তার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল তাদের বৃদ্ধি এবং খাদ্যের জোগান।

.