প্রাক্তন যুব কংগ্রেস নেতা সুশীল আদালতে মুক্তির দাবি জানায়।
New Delhi: ১৯৯৫ সালের সেই ঘটনার কথা আজও অনেকের মনে আছে। নিজের স্ত্রীকে খুন করে তন্দুর তৈরির উননে পুড়িয়ে দেয় স্বামী সুনীল শর্মা। ডিএনএ এবং দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের পর দোষীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। স্ত্রী নাইনা সাহানিকে খুন করায় দোষী সাব্যস্তও হয় সুনীল। দিল্লির সেই ঘটনার পর থেকে জেলেই আছে সে। এবার তাকে আর দেরি না করে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগে এ সপ্তাহে আদালতের জিজ্ঞাসা করে খুনের মামলার সাজা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কি অনিরদিষ্টকালের জন্য জেলে থাকতে হবে? এর আগে প্রাক্তন যুব কংগ্রেস নেতা সুশীল আদালতে মুক্তির দাবি জানায়। সে বলে শেষ ২৯ বছর জেল খাটছে। এই সময়টা প্রস্তাবিত জেলের মেয়াদ (২৫ বছর)-এর থেকে বেশি। তাই এবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক।
সোহরাবুদ্দিন মামলায় সকল অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হল
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বলে খুন এক বর্বর বিষয়। কিন্তু সুশীল জেলে থাকার মেয়াদ শেষ করেছে। এবার তাকে জেলে রেখে দিলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।
১৯৯৫ সালে সুশীল নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে। তদন্তকারীদের দাবি হত্যার পর শরীরের বেশ কয়েকটি টুকরো করে এবং তন্দুর তৈরির উননে ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনার আট বছর বাদে ২০০৩ সালে নিম্ন আদালত সুশীলকে ফাঁসির সাজা দেয়। ২০০৭ সালে দিল্লি হাইকোর্ট সেই রায় বহাল রাখে। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতিদের মনে হয় সুশীল যে তন্দুর তৈরির উননে স্ত্রীকে ঢুকিয়েছেন তাঁর প্রমাণ নেই। পাশাপাশি সুশীল আদালত জানায় সুশীল পাকা অপরাধী নন এবং আবার এমন কিছু করবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই সাজার পরিমাণ কমে আসে।