This Article is From Jan 25, 2019

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হল রাজধানীকে

বহাল করা হয়েছে, মোবাইল হিট টিম, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট স্নাইপার ও শার্প শুটারদেরও। রাজপথ থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত মোট ৮ কিলোমিটার জুড়ে যে প্যারেড হবে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তার দিকেই কঠোর নজর থাকবে তাঁদের।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতি চলছে রাজধানীর রাজপথে।

নিউ দিল্লি:

প্রজাতন্ত্র দিবস এর প্রাক্কালে রাজধানীকে মুড়ে দেওয়া হল কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে। অন্তত ২৫,০০০ নিরাপত্তা কর্মীর অতন্দ্র প্রহরা বহাল করা হয়েছে কোনওরকম সন্ত্রাসবাদী হানা আটকে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। দেশের ৭০-তম প্রজাতন্ত্র দিবসকে অন্তত নিরাপত্তার দিক দিয়ে সর্বোত্ত্ম করে তুলতে প্রবলভাবে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রবল নিরাপত্তার কড়াকড়ির নেপথ্যে অন্য আরেকটি কারণও রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। সেটি হল, জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে জঙ্গি হামলা করাই ছিল যাদের মূল লক্ষ্য। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জৈশ-ই_মহম্মদের ওই দুজন সন্দেহভাজন জঙ্গি লাজপত নগর মার্কেট, হজ মঞ্জিল, তুর্কম্যান গেট, পাহাড়গঞ্জ, ইন্ডিয়া গেট এবং পূর্ব দিল্লির আইজিএল গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।

বিভিন্ন ধাপে ধাপে নিরাপত্তাকর্মীদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ২৫,০০০ পুলিশকর্মী বহাল রয়েছেন এই দায়িত্বে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরাও। নয়াদিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মধুর বর্মা জানান, ফেস ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে রাজপথে।

এছাড়া, বহাল করা হয়েছে, মোবাইল হিট টিম, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট স্নাইপার ও শার্প শুটারদেরও। রাজপথ থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত মোট ৮ কিলোমিটার জুড়ে যে প্যারেড হবে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তার দিকেই কঠোর নজর থাকবে তাঁদের।

Advertisement

স্নাইপাররা থাকবেন বহুতলগুলির একদম শীর্ষে। এর সঙ্গে থাকবে কয়েক হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা। যা লক্ষ রাখবে প্যারেড চলাকালীন মানুষের গতিবিধির ওপর।

বায়ুপথকে সুরক্ষিত রাখার জন্য বহাল করা হয়েছে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান স্নাইপারদেরও।

Advertisement

কোনও সন্দেহজনক উড়ন্ত বস্তু চোখে পড়লেই যাতে সেটিকে তড়িঘড়ি থামিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য দিল্লি পুলিশ কাউন্টার-ড্রোন প্রযুক্তিও ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

নিরাপত্তাকর্মীরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত বাজার, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থানগুলিকে নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়ার কাজে ব্যস্ত।

Advertisement

প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি এবং সাধারণ মানুষরা যাতে যান চলাচল নিয়ে কোনও সমস্যায় না পড়েন, তা দেখার জন্য ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে দিল্লির ট্র্যাফিক পুলিশও।

মাছি না গলতে পারার নিরাপত্তাবেষ্টনীকে সাক্ষী রেখে রাজধানীর প্রজাতন্ত্র দিবসটি কেমন যায়, তা দেখারই অপেক্ষায় এখন দেশবাসী।

Advertisement

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement