தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jan 27, 2020

Nirbhaya Case: "অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যদি...": নির্ভয়া কাণ্ডে বললেন প্রধান বিচারপতি

রাষ্ট্রপতি Nirbhaya কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন, তারপরেও সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Delhi Gang Rape Case: ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় ফাঁসিতে ঝোলানোর মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে ৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে

Highlights

  • নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মুকেশ সিংয়ের আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক
  • ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকর করতে চাইলে ওই আবেদনকে আগে বিবেচনা করতে হবে
  • ওই আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন খোদ প্রধান বিচারপতি
নয়া দিল্লি:

১ ফেব্রুয়ারি যদি নির্ভয়া কাণ্ডে (Nirbhaya Case) মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামির ফাঁসি কার্যকর করতেই হয় তবে অন্যতম আসামি মুকেশ সিংয়ের আবেদনটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা উচিত, বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। এর আগে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নির্ভয়া (Nirbhaya) কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন। তারপরেও ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় সে। "১ ফেব্রুয়ারি যদি কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হয়, তবে এই আবেদনটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করতে হবে", তাই এই আবেদন নিয়ে মুকেশের (Nirbhaya Convict) আইনজীবীকে আদালতের রেজিস্ট্রারের কাছে যেতে অনুরোধ করেন প্রধান বিচারপতি।

"আমার প্রাণভিক্ষা কেন খারিজ করা হয়েছে?" এমনটা জানতে চেয়ে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্ভয়া-কাণ্ডের আসামি মুকেশ সিং। পাশাপাশি, ওই কুখ্যাত ধর্ষণ মামলার অন্যতম অপরাধী মুকেশ ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকরে যে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তা খারিজ করারও আবেদন করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। শীর্ষ আদালত ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যেভাবে তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেছেন, তার বিরোধিতাও করা হয়েছে মুকেশ সিংয়ের করা আবেদনে। 

Nirbhaya Case: "প্রাণভিক্ষা খারিজ কেন?" জানতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ এক অপরাধী

Advertisement

মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিং আর পবন গুপ্তা- এই ৪ অপরাধীর ফাঁসি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কার্যকর করা হবে দিল্লির তিহার জেলে। নির্ভয়া-কাণ্ডে ৬ জন জড়িত থাকলেও, তাদের মধ্যে অন্যতম রাম সিংয়ের দেহ তিহার জেলে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ষষ্ঠ অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় ২০১৬ সালে, তাকে কিশোর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি ৪ জনকেই ফাঁসিতে ঝোলানোর মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করেন বিচারক। এদিকে জানুয়ারির ১৭ তারিখ মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি।

Nirbhaya Case: ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের শেষ ইচ্ছা শোনার অপেক্ষায় দেশ

Advertisement

এর আগে দুই অপরাধীর কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই ৪ জনের ফাঁসির দিন আগে ধার্য হয়েছিল ২২ জানুয়ারি । এর পরেই ফের সুপ্রিম কোর্টে পৃথকভাবে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে মুকেশ সিং। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি সরকার আদালতের কাছে নতুন ফাঁসির দিন চেয়ে আবেদন করে। তাদের অভিযোগ ছিল, প্রক্রিয়া দীর্ঘ করতে এই পথে হাঁটছে অপরাধীরা। এরপর মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষা না-মঞ্জুর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নতুন মৃত্যু পরোয়ানা আগামী ১ ফেব্রুয়ারির জন্য জারি করা হয়।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের এক তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লিতে। ফেরার পথে তাঁরা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় একটি ফাঁকা বেসরকারি বাসে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। বাসে ছিল ছ'জন ব্যক্তি। এরপর তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর তাঁকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাঁর সঙ্গীও আহত হন। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমানুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে। 

Advertisement