Read in English
This Article is From Jan 30, 2020

Nirbhaya case: আসামি অক্ষয় সিংয়ের কিউরিটিভ পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

Nirbhaya Gangrape Case: মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিং আর পবন গুপ্তা- এই ৪ অপরাধীকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় ফাঁসি দেওয়ার কথা দিল্লির তিহার জেলে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Nirbhaya Convicts: ফাঁসি থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে ৪ অপরাধী

Highlights

  • ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি স্থগিতের আবেদন করে দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ অক্ষয় সিং
  • এর আগে বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় বিনয় শর্মা
  • বুধবারই মুকেশ সিংয়ের করা আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট
নয়া দিল্লি:

নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya case) অন্যতম আসামি অক্ষয় সিংয়ের কিউরিটিভ পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে বৃহস্পতিবারই ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি রদের আবেদন করে দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ হয় সে। দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে (Patiala House Court) ওই আবেদন জানিয়েছে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী অক্ষয় সিং। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে মৃত্যুদূত, কিন্তু তাঁর সঙ্গে যেন লুকোচুরি খেলতে ব্যস্ত নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিরা (Nirbhaya Convicts)। ছলে-বলে-কৌশলে ফাঁসির দিন পিছতে চাইছে তারা। মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করার চেষ্টায় এখনও পর্যন্ত এটাই সাম্প্রতিক উদাহরণ। এদিকে আরেক অপরাধী বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় বুধবার।

এর আগে রামনাথ কোবিন্দের কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে মুকেশ শর্মাও, কিন্তু তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন কোবিন্দ। এদিকে বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে করুণার আবেদনে বলেছে যে জেলে থাকাকালীন তাকে তীব্র মানসিক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বিনয় রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করেছে যে, রাষ্ট্রপতি একটি উপযুক্ত সময় দিলে তাঁর সামনে উপস্থিত হয়ে মৌখিকভাবে গোটা বিষয়টি বোঝানোর সুযোগ পাবেন তাঁর আইনজীবী। "আমি এই করুণার আবেদন করছি এই আশা নিয়ে যে আপনি আমার জীবনের গল্প শুনবেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের ওই ভয়াবহ দিনের ঘটনা কীভাবে আমার জীবনকে চিরতরে বদলে দিয়েছিল তা বলার এই আমার শেষ সুযোগ ... আমি আপনাকে সব বলতে চাই, যাতে মৃত্যুই আমার একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন", বিনয় শর্মার আবেদনের কথা সংবাদ সংস্থা পিটিআই এভাবেই তুলে ধরেছে।

Nirbhaya Case: "জেলের ভোগান্তি ক্ষমা প্রার্থনার পক্ষে যুক্তি হতে পারে না": বলল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement

ক্রমাগত ফাঁসি কার্যকরের দিন পিছনোয় সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশের আইনি ব্যবস্থা। সমাজকর্মী থেকে নির্ভয়ার পরিবারের সদস্যরা এই বিষয়গুলোকে আসামিদের "মৃত্যুদণ্ড পিছনোর কৌশল" বলে মন্তব্য করেছেন। নির্ভয়ার মা আশা দেবীর মন্তব্য, "সময় নষ্ট করতে এসব করছে অপরাধীরা।"

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের এক তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লিতে। ফেরার পথে তাঁরা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় একটি ফাঁকা বেসরকারি বাসে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। বাসে ছিল ছ'জন ব্যক্তি। এরপর তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর তাঁকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাঁর সঙ্গীও আহত হন। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমানুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে। 

Advertisement

Nirbhaya Case: "বাবা-মায়ের কথা ভেবেই প্রাণভিক্ষার আবেদন করছি", বলল আসামি বিনয় শর্মা

নির্ভয়া মামলার বিচার শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিং আর পবন গুপ্তা- এই ৪ অপরাধীকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় ফাঁসি দেওয়া হবে দিল্লির তিহার জেলে। নির্ভয়া-কাণ্ডে ৬ জন জড়িত থাকলেও, তাদের মধ্যে অন্যতম রাম সিংয়ের দেহ তিহার জেলে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ষষ্ঠ অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় ২০১৬ সালে, তাকে কিশোর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি ৪ জনকেই ফাঁসিতে ঝোলানোর মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করেন বিচারক।

Advertisement