हिंदी में पढ़ें
This Article is From Mar 07, 2020

নির্ভয়া মামলার আসামি মুকেশ সিংয়ের নয়া চাল, ফাঁসি রুখতে আইনজীবীর বাহানা!

Nirbhaya Case: আইনজীবী তাঁকে ভুল পথে চালিত করেছিলেন, তাই তাকে নতুন করে আইনি সাহায্য দেওয়া হোক, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম আসামির

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Nirbhaya Convict: ২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিদের ফাঁসি দেওয়া হবে (ফাইলচিত্র)

Highlights

  • এই নিয়ে চতুর্থবার নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি
  • আগামী ২০ মার্চ ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে তাদের ফাঁসি কার্যকরের কথা
  • কিন্তু তার আগে ফের আইনি প্রতিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুকেশ সিং
নয়া দিল্লি:

ফাঁসি রুখতে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিরা। গত বৃহস্পতিবারই দিল্লির আদালত আগামী ২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় চার দোষীর ফাঁসি (Nirbhaya Case) কার্যকরের উদ্দেশে নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। আর তারপরেই সেই মৃত্যুদণ্ড রদ করতে নয়া চাল চাললেন মুকেশ সিংয়ের উকিল মনোহর লাল শর্মা। সুপ্রিম কোর্টে করা ওই আবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার ও আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার (Vrinda Grover) মিলিত ভাবে মুকেশকে (Mukesh Singh) ফাঁসাতে ‘অপরাধমূলক ষড়য়ন্ত্র' ও ‘জালিয়াতি' করেছে, তাকে ভুল পথে চালিত করেছে ৷ তাই আবার নতুন করে আইনি সাহায্য দেওয়া হোক নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম ওই অপরাধীকে (Nirbhaya Convict) ৷ আর যেভাবে তার সঙ্গে আইনি প্রতারণা করা হয়েছে তার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত, এমনটাও আবেদন করা হয়। 

বৃহস্পতিবার নতুন করে নির্ভয়া-কাণ্ডের চার আসামির ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে দিল্লির এক আদালত। তাতে উল্লেখ করা হয় যে, আগামী ২০ মার্চ, ভোর ৫:৩০-এ কার্যকর করা হবে ওই ৪ অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড। এর আগে ২২ জানুয়ারি, ১ ফেব্রুয়ারি এর ৩ মার্চ স্থির হয়েছিল ফাঁসির দিন। কিন্তু কোনও না কোনও আইনি জটে পিছিয়ে যায় সেই প্রক্রিয়াগুলি। বুধবার রাষ্ট্রপতি এই মামলার অন্যতম আসামি পবন গুপ্তার প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ করে দেন। তারপরেই বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা আদালতের বিচারপতি ধর্মেন্দ্র প্রধান নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।

নির্ভয়া-কাণ্ড: ২০ মার্চ, সকাল ৫:৩০-এ কার্যকর হবে ফাঁসি, জানাল দিল্লির কোর্ট

Advertisement

২০১৮ সালে মুকেশ সিং প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালে তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। সেই সময় তার কিউরেটিভ আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু মুকেশের বর্তমান আইনজীবী এম এল শর্মার অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির আর্জি খারিজের ৭ দিনের মধ্যেই কিউরেটিভ আবেদন জানাতে বাধ্য করেছিলেন মুকেশের তৎকালীন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। কার্যত জোর করে মুকেশ সিংকে সেই নথিতে তিনি স্বাক্ষর করিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। তাই মুকেশ যাতে ‘স্বেচ্ছায়' ফের একবার এই আবেদন জানাতে পারে, তার ব্যবস্থা করুক সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে মুকেশ সিংয়ের উকিল এম এল শর্মার দাবি, ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মুকেশকে এর জন্যে সময় দেওয়া হোক। 

“তামাশা দেখছে আদালত”, ফাঁসি কার্যকরে বিলম্ব নিয়ে বললেন নির্ভয়ার মা

Advertisement

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির ২৩ বছর বয়সী এক প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ ও হত্যা করে পবন সহ মোট ৬ জন। তার মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে ৩ বছর পরে ছাড়া পেয়ে যায় এবং অন্যতম অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। 

Advertisement

Advertisement