Read in English
This Article is From Mar 04, 2020

সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ নির্ভয়ার অপরাধীদের, ফাঁসির নতুন তারিখ চাইল তিহার জেল

Nirbhaya case: ৩ মার্চ ভোর ৬টায় নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামির ফাঁসি কার্যকর করার কথা থাকলেও পবন গুপ্তার এই প্রাণভিক্ষার আবেদনের জেরে তা স্থগিত করে দিতে হয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by ,

Delhi Nirbhaya Case: নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার ৪ জনকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত, তার মধ্যে অন্যতম পবন গুপ্তা

Highlights

  • নির্ভয়া মামলার অন্যতম আসামি পবন গুপ্তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ
  • তার আবেদন খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
  • ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর নির্ভয়াকে ধর্ষণ করে ৬ জন, তার মধ্যে অন্যতম পবন
নয়া দিল্লি:

নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya case) অন্যতম আসামি পবন গুপ্তার প্রাণভিক্ষার আবেদন (Mercy Petition) খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই সঙ্গেই নির্ভয়ার অপরাধীদের সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ হল। তিহার জেলের পক্ষ থেকে ফাঁসির নতুন তারিখ চাওয়া হল আদালতের কাছে। এর আগে তিনবার ফাঁসির তারিখ পিছিয়েছে। দিল্লির ২৩ বছর বয়সি এক প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ ও হত্যা করে পবন সহ মোট ৬ জন। তার মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে ৩ বছর পরে ছাড়া পেয়ে যায় এবং অন্যতম অভিযুক্ত (Nirbhaya Convict) রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। কিছুদিন আগে পবন গুপ্তার কিউরিটিভি পিটিশনও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও করুণার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয় ওই আসামি, কিন্তু দেখা গেল নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যান্য আসামিদের মতো পবনের প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ করলেন দেশের প্রথম নাগরিক (President of India)।

৩ মার্চ ভোর ৬টায় নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামির ফাঁসি কার্যকর করার কথা থাকলেও পবন গুপ্তার এই প্রাণভিক্ষার আবেদনের জেরে তা স্থগিত করে দিতে হয়। এর আগে যদিও দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে ৪ আসামি অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিং তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিকবার আবেদন করে, তবে প্রতিবারই তাদের ফাঁসি স্থগিতের আবেদন বাতিল করে দেয় আদালত। 

Nirbhaya case: আগামিকাল ফাঁসি নয় নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের, জানাল দিল্লি আদালত

Advertisement

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির যুবতী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করার পর লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে মোট ৬ জন। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষপর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হন নির্ভয়া। লজ্জায় মুখ ঢাকে গোটা দিল্লি। ২৩ বছর বয়সী ওই প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় পবন সহ মোট ৬ জনকেই। তার মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে ৩ বছর পরে ছাড়া পেয়ে যায় এবং অন্যতম অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। ৩ মার্চ তাঁদের ফাঁসি কার্যকর করার কথা থাকলেও পবন গুপ্তার প্রাণভিক্ষার আবেদনের জেরে তা আপাতত স্থগিত করতে বাধ্য হয় আদালত।

“তামাশা দেখছে আদালত”, ফাঁসি কার্যকরে বিলম্ব নিয়ে বললেন নির্ভয়ার মা

Advertisement

এর আগেও দু'বার ফাঁসির দিন ধার্য হয়েও, পরে তা পিছিয়ে যায়, প্রথম দিন ছিল ২২ জানুয়ারি, পরে তা ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। শেষপর্যন্ত গত ৩ মার্চ ফাঁসির দিন ধার্য করা হলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। আপাতত ২০১২ গণধর্ষণ ও খুনের ওই ঘটনায় ৪ সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসির সাজা পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় দিল্লি আদালত। 

Advertisement