ফাঁসির নির্ধারিত দিনের আর একদিনও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya Case) অন্যতম এক অপরাধী (Nirbhaya Convict) পিটিশন জমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই অপরাধী পবন গুপ্তার দাবি, ২০১২ সালে ওই অপরাধ করার সময় সে নাবালক ছিল। শীর্ষ আদালত এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। গত দু'সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই দাবি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। সে গত সপ্তাহে এই রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি পেশ করেছিল। তাকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বয়স সংক্রান্ত এমন দাবি বারংবার করা যায় না। চার অপরাধীই একাধিক পিটিশন ফাইল করেছে ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। শনিবার ভোর ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা ওই চারজন— পবন গুপ্তা, মুকেশ সিংহ, অক্ষয় সিংহ ও বিনয় শর্মার। বৃহস্পতিবারই ফাঁসুড়ে পৌঁছে গিয়েছে দিল্লির তিহার জেলে।
সুপ্রিম কোর্টে কিউরিটিভ পিটিশন পেশ করা ছাড়াও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও নিম্ন আদালতে আর্জি জানিয়ে ফাঁসি রদের চেষ্টা করেছে অপরাধীরা।
Nirbhaya case: আসামি অক্ষয় সিংয়ের কিউরিটিভ পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে ছ'জন। সেই সঙ্গে লোহার রড দিয়ে অমানুষিক অত্যাচার করার পর তাঁকে বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ দেখাতে থাকে তরুণ-তরুণীরা।
Nirbhaya Case: "বাবা-মায়ের কথা ভেবেই প্রাণভিক্ষার আবেদন করছি", বলল আসামি বিনয় শর্মা
ছ'জনের মধ্যে একজন নাবলক হওয়ায় তাকে তিন বছর সংশোধনাগারে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য একজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায় জেলের মধ্যে।
নির্ভয়ার বাবা-মা শনিবারই ওই গণধর্ষণকাণ্ডের ৪ অপরাধীর একসঙ্গে ফাঁসির পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন। কোনওভাবেই যেন আইনের ফাঁক গলে তারা ফাঁসি পিছোতে না পারে, সেই দাবিও করেন তাঁরা।