Nirbhaya Convicts: শুক্রবার তিহার জেলে নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামির ফাঁসি কার্যকরের পর স্বস্তিতে নির্ভয়ার মা
হাইলাইটস
- নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামির ফাঁসি কার্যকরে খুশি নির্ভয়ার মা আশা দেবী
- মেয়ের ছবি জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি
- শুক্রবার ফাঁসিতে ঝোলানো হয় নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামিকে
নয়া দিল্লি: ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্যে এত দীর্ঘদিনের অপেক্ষা খুব কষ্টের ও বিরক্তিকর থাকলেও অবশেষে সুবিচার পেয়েছেন তাঁরা, মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচার চালানো ৪ ধর্ষকের ফাঁসির পর প্রতিক্রিয়া দিলেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী।শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি দেওয়া হয় নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya case) ৪ আসামি অক্ষয় ঠাকুর (৩১), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) ও মুকেশ সিংকে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে নির্ভয়ার মা (Asha Devi) বলেন, "আমরা ভারতের মেয়েদের সুবিচার পাওয়ার জন্যে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। তবে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যে আমাদের এই দীর্ঘদিনের অপেক্ষা খুব কষ্টের ছিল। একসময় এই অপেক্ষা মানসিক যন্ত্রণা হয়ে উঠেছিল আমাদের কাছে। তবে শেষপর্যন্ত আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি"। জানা গেছে, ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর আশা দেবী জড়িয়ে ধরেছিলেন নির্ভয়া নামে পরিচিত তাঁর মেয়ের ছবিকে।
দীর্ঘ ৭ বছর পর ফাঁসিতে ঝোলানো হল নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামিকে
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির এক চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী এক প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করে রাজপথে ছুঁড়ে ফেলে দেয় মোট ৬ দুষ্কৃতি। ওই ঘটনায় (2012 Delhi Rape Case) অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে ৩ বছর পরে ছাড়া পেয়ে যায় । আরেক অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত।
জানা গেছে, ফাঁসির আগের রাতে নির্ভয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ওই ৪ আসামি খেতে অস্বীকার চায়নি এবং তারা সারা রাত জেগে ছিল। এই ফাঁঁসি কার্যকরের আগে গোটা তিহার জেলকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়। গোটা জেল চত্বরই ফাঁসির আগের রাতে লকডাউন পরিস্থিতিতে ছিল।
রাত পেরলেই ফাঁসি! আত্মহত্যার হুমকি দিলেন নির্ভয়া আসামি অক্ষয়ের স্ত্রী
তিহার জেলে ওই ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর নির্ভয়ার মা আশা দেবী বলেন, "নির্ভয়ার মা হিসাবে আমি গর্বিত"। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চলা আইনি জটের গেরো পেরিয়ে আজ (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৫টায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয় নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৪ অপরাধীকে। এই প্রথম দিল্লির তিহার জেলে একটি নির্দিষ্ট মামলায় একসঙ্গে ৪ অপরাধীর ফাঁসি হল, ভারতের ইতিহাসেও এই ঘটনা নজিরবিহীন। ৪ দোষীকে ফাঁসিতে ঝোলান জল্লাদ পবন।
ফাঁসি কার্যকরের পর আশা দেবী দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। তিনি একথাও বল বলেন, "আমি এই ফাঁসি কার্যকর হওয়ার জন্যে দেশের বিচার বিভাগ, সরকার তথা প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আদালত যেভাবে ওই দোষীদের সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে তাতে আমি খুশি। ২০১২ সালে গোটা দেশ লজ্জায় মুখ ঢেকেছিল"।