Read in English
This Article is From Feb 07, 2020

Nirbhaya Case: মঙ্গলবার ৪ আসামির পৃথক ফাঁসির আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

Supreme Court: সরকার পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, "দেশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টকে প্রয়োজনে এ নিয়ে আইন করতে হবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Nirbhaya: ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণ মামলার ৪ আসামিকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়

Highlights

  • ৪ আসামিকে প্রয়োজনে আলাদা দিনে ফাঁসি দেওয়া হোক, সুপ্রিম কোর্টে বলে কেন্দ্র
  • মঙ্গলবার কেন্দ্রের করা ওই আবেদন শোনা হবে, জানায় শীর্ষ আদালত
  • ১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দিল্লি আদালত
নয়া দিল্লি:

পৃথকভাবে ফাঁসি দেওয়া হোক নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya Case) অভিযুক্তদের, কেন্দ্রের এই আবেদনের শুনানি আগামী মঙ্গলবার হতে চলেছে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ক্রমশই দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে। তাই ওই অপরাধীদের প্রয়োজনে আলাদা দিনে ফাঁসি দেওয়া হোক, এই আবেদন করে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে ওই ৪ অপরাধীর (Nirbhaya Convicts) ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়ে অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকার। সরকার পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, "দেশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টকে প্রয়োজনে এ নিয়ে আইন করতে হবে।

সরকার চেয়েছিল এই চার আসামির কাছে আলাদা করে নোটিস পাঠানো হোক। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আর ভানুমথির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সরকারের এই অনুরোধ খারিজ করে দিয়ে বলে যে, এই বিষয়টি এই মামলাকে আরও বিলম্বিত করবে।

Nirbhaya Case: ফাঁসি রদে ১ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করতে হবে সমস্ত আইনি চেষ্টা, বলল দিল্লি আদালত

Advertisement

এর আগে দিল্লি আদালত কেন্দ্রের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জানায়, নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামি তাঁদের ফাঁসি রদের চেষ্টা করতে আর ১ সপ্তাহ সময় পাবে, তার মধ্যেই তাদের সমস্ত আইনি প্রচেষ্টা শেষ করতে হবে। এরপরেই ওই অপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করা সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু করবে আদালত। যেভাবে দিনের পর দিন নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামি ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার জন্যে নানারকম ফিকির খুঁজছে তার বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে করা আবেদনে ওই রায় দিল আদালত। তবে কেন্দ্রের করা আরেকটি আবেদন খারিজ করে দিয়ে দিল্লি আদালত জানায় যে, আলাদা আলাদা ভাবে নয়, একই সঙ্গে ফাঁসি কার্যকর করা উচিত ওই ৪ আসামির।

Nirbhaya Case: ফাঁসি রদে সাজাপ্রাপ্ত অক্ষয় ঠাকুরের আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি

Advertisement

২০১২ সালে দিল্লিতে ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং, এবং অক্ষয় সিংয়ের। তবে তাদের মধ্যে বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোয় ফাঁসি কার্যকর করা যায়নি। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় আরেক সাজাপ্রাপ্ত অক্ষয় সিং। সেই সময় দিল্লির পাতিয়ালা আদালত জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাদের ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না। প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার ১৪ দিনের আগে সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসি কার্যকর করা যায় না। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি ওই ৪ আসামির ফাঁসির দিন ধার্য হলেও সেই সময়েও তা স্থগিত করে দিতে হয় মামলার অন্যতম আসামি মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদনের কারণে।

২০১২ এর ১৬ ডিসেম্বর, দিল্লিতে প্যারামেডিক্যালের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং অকথ্য অত্যাচার করা হয় চলন্ত বাসে, পরে তাঁকে সেখান থেকে ছুঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়, সেই সময় তিনি নগ্ন এবং রক্তাক্ত ছিলেন। ২৯ ডিসেম্বর নির্ভয়ার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে।

Advertisement

Advertisement