Nirbhaya Mercy Plea: রাষ্ট্রপতির কাছে করুণা প্রার্থনা করেছে বিনয় শর্মা
হাইলাইটস
- রাষ্ট্রপতির কাছে করুণার আবেদন নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম দোষী বিনয় শর্মার
- সুপ্রিম কোর্টে কিউরিটিভ পিটিশন দায়ের করেছে আরেক আসামি অক্ষয় সিং-ও
- ফলে ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়
নয়া দিল্লি: নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya Case) ৪ আসামির ফাঁসি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি আদৌ কার্যকর করা যাবে কিনা তা নিয়ে ঘোরতর সংশয় তৈরি হয়েছে। কেননা বুধবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে ওই মামলার অন্যতম আসামি বিনয় শর্মা (Vinay Sharma)। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে কিউরিটিভ পিটিশন দায়ের করেছে আরেক আসামি অক্ষয় সিং। যদি সুপ্রিম কোর্ট তার ওই আবেদন খারিজও করে দেয় তাহলেও নিয়ম অনুযায়ী আদালতে আবেদন খারিজ হওয়ার পরে দোষীর শাস্তি কার্যকর করার আগে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়। ফলে সব মিলিয়ে আইনের জটে এখন বিশ বাঁও জলে নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Gangrape Case) দোষীদের ফাঁসি।
নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় শর্মা বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে করুণা আবেদন করে। এর আগে রামনাথ কোবিন্দের কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে মুকেশ শর্মা, কিন্তু তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন কোবিন্দ। এদিকে বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে করুণার আবেদনে বলেছে যে জেলে থাকাকালীন তাকে তীব্র মানসিক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বিনয় রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করেছে যে, রাষ্ট্রপতি একটি উপযুক্ত সময় দিলে তাঁর সামনে উপস্থিত হয়ে মৌখিকভাবে গোটা বিষয়টি বোঝানোর সুযোগ পাবেন তাঁর আইনজীবী।
Nirbhaya Case: এবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন অপরাধী বিনয় শর্মার
এছাড়াও বিনয় শর্মা বলে যে সে নিজে প্রথমে বাঁচতে চায়নি। কিন্তু মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার পর তার ভাবনা বদলে গেছে। কেননা তার বাবা-মা তাকে জানিয়েছেন যে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়েই তাঁরা বেঁচে আছেন। তাই তার প্রাণ ভিক্ষা দিন রাষ্ট্রপতি, এমনটাই আবেদন নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম আসামি বিনয়ের।
Nirbhaya Case: মুকেশ সিংয়ের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট, অক্ষয়ের কিউরিটিভ পিটিশনে এখনও মেলেনি রায়
এদিকে সব দেখে শুনে যা মনে হচ্ছে তাতে ১ ফেব্রুয়ারি সম্ভবত ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব হবে না ৪ আসামির। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্ষয় সিং যেহেতু ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে কিউরিটিভ পিটিশন দাখিল করেছে, তাই ফের পিছোতে পারে ফাঁসির দিনক্ষণ। এর আগে ওই চারজনের ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকরের দিন চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু আইনি জটে সেই নির্ঘণ্ট পিছিয়ে হয় ১ ফেব্রুয়ারি। ক্রমাগত ফাঁসি কার্যকরের দিন পিছনোয় সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশের আইনি ব্যবস্থা। সমাজকর্মী থেকে নির্ভয়ার পরিবারের সদস্যরা এই বিষয়গুলোকে আসামিদের "মৃত্যুদণ্ড পিছনোর কৌশল" বলে মন্তব্য করেছেন। নির্ভয়ার মা আশা দেবীর মন্তব্য, "সময় নষ্ট করতে এসব করছে অপরাধীরা।"