মহারাজা অগ্রসেন কলেজে এনডিটিভি টাউন হল অনুষ্ঠানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
হাইলাইটস
- আমরা পুরো সৎ থেকে দিল্লির উন্নয়নে কাজ করেছি। গত ৭০ বছরে যা সম্ভব হয়নি।
- এনডিটিভি টাউন হল অনুষ্ঠানে এসে শুক্রবার এ দাবি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
- তাঁর মন্তব্য, মানুষ বিধানসভায় একটা ইস্যু মাথায় রেখে ভোট দেন।
নয়াদিল্লি: আমরা পুরো সৎ থেকে দিল্লির উন্নয়নে কাজ করেছি। গত ৭০ বছরে যা সম্ভব হয়নি। মহারাজা অগ্রসেন কলেজে এনডিটিভি টাউন হল অনুষ্ঠানে এসে শুক্রবার এ দাবি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী দিল্লি বিধানসভার ভোট প্রচারে, তাঁর দল আপের (AAP) কৌশল কী? তিনি এদিন প্রতিশ্রুতি দেন, "আবার ক্ষমতায় ফিরলে, আমরা যমুনা সংস্কার, পরিশুদ্ধ পানীয় জল, পরিচ্ছন্ন দিল্লি আর দূষণ নিয়ন্ত্রণ--এর উপর কাজ করব।" তাঁর মন্তব্য, 'মানুষ বিধানসভায় একটা ইস্যু মাথায় রেখে ভোট দেন। আর লোকসভায় অন্য ইস্যু মাথায় রেখে ভোট দেন, এটা গোটা দেশের ট্রেন্ড।' তিনি বলেছেন, ৫০%-এর বেশি মানুষ দিল্লিতে সরকার-অনুমোদনহীন কলোনিতে থাকেন। গত ৭০ বছরে সেই কলোনি পাকা রাস্তা, জলের লাইন পায়নি।
অনেক সরকার এসেছে-গিয়েছে। প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল কিন্তু কেউ পূরণ করেনি। সেই কাজই আমরা করেছি। আমাদের পরিকল্পনা আছে সরকার-অনুমোদনহীন কলোনিতে মহিলা সেবাকেন্দ্র (ক্লিনিক) খোলার। আমরা শিক্ষায় ব্যয়-বরাদ্দ দ্বিগুণ করেছি। ভাঙা স্কুলগুলোর পুনর্নির্মাণ করেছি। পড়াশোনার মান-উন্নয়নে শিক্ষক-অধ্যক্ষদের উৎসাহ দিয়েছি। এতেই কাজ দিয়েছে। সরকারি স্কুলে ৯৬% সাফল্য এসেছে আর বেসরকারি স্কুলে ৯৩% সাফল্য এসেছে, দাবি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রতি মোড়ে আলো বসিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য আগামী তিন মাসের মধ্যে সব মোড়কে আলোকিত করা। নারী নিরাপত্তা দিল্লির অন্যতম ইস্যু। সে বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে ১.৫ লক্ষ ক্যামেরা বসিয়েছি। আরও ১.৫ লক্ষ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সিএএ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "এই আইনের মানে আমি কিছুই বুঝছি না। বিহার কিংবা ইউপির বুড়ারি থেকে একজন এসেছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম জন্মের প্রমাণপত্র (বার্থ সার্টিফিকেট) আছে? সে বললো না, আমি বাড়িতে জন্মেছি, ওসব কিছু নেই। এমনকী আমার মা-বাবারও ওসব নেই। আমি বললাম, তাহলে এবার কী? তোমাকে তো দেশ ছাড়তে হবে! এটা কী? পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের প্রতি দরদ, আর যারা ভারতীয় হিন্দু? তাদের জন্য কোন আইন?" তিনি আরও বলেছেন, সিএএ-র দরকার নেই। দেশ-সহ কেন্দ্রের এটা খারিজ করা উচিত।
তাঁকে কেরালা বিধানসভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ওরা যেটা করেছে, সেটা ওদের করতে দিন। কিন্তু সংসদে আমাদের এই বিল খারিজ করার কথা বলতে হবে । সিএএ-বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে তাঁর পরামর্শ: শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ হোক আর কম সংখ্যক পুলিশকর্মী ব্যবহার হোক। জামিয়ার প্রতিবাদ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ কথা বলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি পুলিশকে রাজ্য সরকারের অধীনে রাখতে বহুদিন ধরে আন্দোলন করছে দিল্লির আপ সরকার। এবার সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দিল্লি পুলিশ আমার-আপনার সকলের।ওরা আমাদের অধীনে না থাকলেও, আমাদের পুলিশ। এই দেশ আমাদের, তাই পুলিশ, কেন্দ্র সরকার এরাও আমাদের।" দিল্লির দূষণ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য: দিল্লির নিজস্ব দূষণ আছে। ধুলো আর গাড়ি। তাপমাত্রার তারতম্য ঘটলে শীতকালে এই সমস্যা সব দেশেই কম-বেশি দেখা যায়। সে কারণে দিল্লি এখন গ্যাস চেম্বার। আমাদের এটা কমাতে হবে। গত পাঁচ বছরে ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে আমরা ২৫% দূষণ কমিয়েছি।