২৬ মে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন পুলিশকর্মী বিক্রম।
হাইলাইটস
- গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দিল্লিতে দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যু। মোট মৃত ৩
- রবিবার দুই পুলিশের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন কমিশনার
- দুই এএসআই করোনা সংক্রমণ নিয়ে ২৬ মে থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের প্রকোপে দিল্লি পুলিশের আরও দুই কর্মীর মৃত্যু হল। গত ২৪ ঘণ্টায় এএসআই বিক্রম আর মণি পাণ্ডের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য দিয়েছে দিল্লি পুলিশের একটা সূত্র। জানা গিয়েছে, এই দুই এএসআইয়ের মৃত্যু ধরে একমাসে মোট ৩ পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। টুইটারে শোকপ্রকাশ করে শোকার্ত পরিবারের পাশে থাকতে বার্তা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব। দিল্লির পুলিশ কমিশনার টুইটে লিখেছেন, "করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের দুই সাহসী যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। দিল্লি পুলিশের পরিবার এই স্বজন হারানোর ঘটনায় মর্মাহত। তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দিল্লি পুলিশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"
অর্থনীতির বিরাট অংশ উন্মুক্ত করা হল, আরও সতর্ক হতে হবে এই সময়ে: ‘মন কি বাত'-এ প্রধানমন্ত্রী
এএসআই বিক্রম শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৬ মে চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন। এদিন সকালে টার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি মণি পাণ্ডেও ২৬ মে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন। শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
২৬ মে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন এএসআই মণি পাণ্ডে।
এদিকে, কর্মীদের বেতন দিতে কেন্দ্রের শরণাপন্ন দিল্লির সরকার (Delhi Government)। ৫ হাজার কোটি টাকা সাহায্য চেয়ে দরবার করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। রবিবার টুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি এই সঙ্কটের মুহূর্তে দিল্লির পাশে দাঁড়াতে।" একইভাবে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া বলেছেন, "৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে দিল্লি কিছুই পায়নি। অন্য রাজ্যগুলো এই খাতে টাকা পেয়েছে।" তাঁর দাবি, "সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে দিল্লি সরকারের প্রয়োজন ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাকি খরচ বাবদ প্রয়োজন আরও দেড় হাজার টাকা।"
Unlock1: পঞ্চম দফার লকডাউনেও কী কী খুলছে না দেখে নিন তালিকা
বিবার এক অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে মণীষ সিসোদিয়া বলেন, "আমাদের জিএসটি বাবদ গত দু'মাসে আয় হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। কর্মীদের বেতন মেটাতে আরও অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। এঁদের মধ্যে অনেকে করোনা যোদ্ধা, যারা গত ৩ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।"
চতুর্থ দফার লকডাউনের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজ্যে রাজস্ব ঘাটতি। তাই তিনি আবেদন করেছিলেন, "আমরা ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে। আসুন করোনাকে সঙ্গে করেই বাঁচতে শিখি।"