নিয়মের প্রতি নিষ্ঠার জন্য বিখ্যাত কিরণ বেদিকে ‘ক্রেন বেদি’ও বলা হয়।
হাইলাইটস
- পুলিশ-আইনজীবী সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ পুলিশের
- পুলিশ কর্মীদের প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করলেন কিরণ বেদি
- নিয়মের প্রতি নিষ্ঠার জন্য বিখ্যাত কিরণ বেদি
নয়াদিল্লি: পন্ডিচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক কিরণ বেদি (Kiran Bedi) মুখ খুললেন মঙ্গলবার দিল্লিতে পুলিশ কর্মীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে। কয়েকদিন আগে পুলিশ-আইনজীবী সংঘর্ষের (police-lawyer clashes over the last few days) পরিপ্রেক্ষিতেই ছিল বিক্ষোভ প্রদর্শন। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন কিরণ বেদি। তিনি এক বিবৃতিতে পুলিশ বাহিনীর সমর্থনে জানালেন, ‘‘যখন মহিলা ও পুরুষ পুলিশ নিজেদের দায়িত্ব দৃঢ়তা, নির্ভীকতা ও দায়িত্বপূর্ণ ভাবে পালন করেন তখন তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব তাঁদের সিনিয়রদের।'' তিনি আরও বলেন, ‘‘কখনও ইউনিফর্ম পরিহিত পুরুষ বা মহিলাদের কোণঠাসা হতে দেবেন না যাতে তাঁদের নিজেদের পেশা ও সিনিয়রদের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।''
শনিবার শহরের তিস হাজারি আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পুলিশ কর্মীরা। শেষে রাতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল ও শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ বন্ধ করেন তাঁরা।
গত বছর ভারতে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা করে আইএসআইএস-খোরাসান: মার্কিন আধিকারিক
এদিন প্রতিবাদকারীদের দেখা যায় কিরণ বেদির নামে স্লোগান দিতে। তাঁর ছবির পোস্টে ‘উই মিস ইউ' লিখে অনেকেই প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি আওয়াজ ওঠে, ‘‘আ গয়ি আ গয়ি শেরনি আ গয়ি (সিংহি এসে গিয়েছে)।'' পুলিশের সদর দফতরের একেবারে প্রবেশপথের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
মঙ্গলবারই কিরণ বেদি দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদন জানান, এই বিষয়ে একটি অবস্থান গ্রহণ করতে এবং যেমনই পরিস্থিতি আসুক দৃঢ় থাকতে।
Weather Update Kolkata : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি,কবে থেকে প্রভাব রাজ্যে?
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল কিরণ বেদিকে। সেন্ট স্টিফেন কলেজে চুরিরায় দায়ে ধরা পড়েছিলেন এক আইনজীবী। সেই সময় তাঁকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সে প্রসঙ্গে কিরণ বেদি জানান, তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। যে পুলিশ কর্মী ওই আইনজীবীর হাতে হাতকড়া পরিয়েছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা বা বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু তাতেও টলানো যায়নি কিরণ বেদিকে। তিনি জানান, গ্রেফতার করার সময় ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেননি আইনজীবী বলে। পাশাপাশি নিজের নাম ভাঁড়িয়ে অন্য নামও জানিয়েছিলেন পুলিশকে।
নিয়মের প্রতি নিষ্ঠার জন্য বিখ্যাত কিরণ বেদি। তাঁকে সে কারণে ‘ক্রেন বেদি'ও বলা হয়।