আপনাদের জন্যে এখানে রইল এ বিষয়ে ১০ টি তথ্য:
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি টুইট করেন: "উত্তর ভারত জুড়ে দূষণ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। দিল্লি সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। দিল্লিবাসীও অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। দিল্লির মানুষ তাঁদের কোনও দোষের জন্য এই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন না। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও এই দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ত্রাণ সরবরাহের পদক্ষেপও নেওয়া উচিত। দূষণ রোধে কেন্দ্রের নেওয়া সমস্ত উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করব"।
দূষণের ফলে কম দৃশ্যমানতার কারণে বত্রিশটি বিমানকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, দিল্লি বিমানবন্দরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এই কথা। এর মধ্যে ১২ টি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানও ছিল।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির বাতাসের গুণমান পরীক্ষা করে দেখবে এবং প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে খড়-পোড়ানোর জন্যে সৃষ্ট দূষণ সম্পর্কে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা ইপিসিএর কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আদালতকে কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলিতে বর্জ্য জ্বালানি, শিল্প থেকে বিষাক্ত নির্গমন এবং নির্মাণ প্রকল্প থেকে ধুলাবালি বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা জারি করার পরামর্শ দিয়েছে।
পাঞ্জাব বা হরিয়ানায় কৃষকরা খড় পোড়ানোর ফলে প্রতি শীতে দিল্লি এবং আশেপাশের অঞ্চলে এই সংকট দেখা দেয়, এমন অভিযোগ উঠলেও ওই দুই রাজ্যের তরফ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই দূষণ রোধে কেন্দ্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালও কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা বলেছেন। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
"আমরা দূষণ রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম এবং সকলেই একত্রিত হয়েছিল এই প্রক্রিয়ায়, তা সত্ত্বেও, কেন আমরা এই ঝক্কি নেবো?"রবিবার বিকেলে একটি ভিডিও ভাষণে বলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী। "সমস্ত সরকার একত্রিত হয়ে বসে আলোচনা করুক। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ২৭ লক্ষ কৃষক রয়েছেন। আমরা কীভাবে তাঁদের সকলের কাছে পৌঁছবো? আমাদের আরও কত বছর সময় লাগবে এই সমস্যার সমাধানে? এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা দরকার", বলেন তিনি ।
দিল্লি সোমবার থেকে জোড়-বিজোড়-রোড রেশন স্কিম শুরু করছে, যা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।এই নিয়ম অনুযায়ী, একদিন অন্তর একদিন রাজধানীর রাস্তায় চলবে জোড়-বিজোড় রেজিস্ট্রেশন প্লেটযুক্ত যানবাহনগুলি। এছাড়া মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে।
জানুয়ারির পর থেকে এই প্রথমবার দূষণের মাত্রার পরিমাণ "জরুরি" বিভাগে পৌঁছয়। পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ শুক্রবারই রাজধানী অঞ্চলের এই দূষণের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছে।
শনিবার, উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীদের সঙ্গে তিনবার বৈঠক স্থগিত করার জন্য অভিযুক্ত করেন। ১২ সেপ্টেম্বর, ১৭ অক্টোবর এবং ১৯ অক্টোবর, তিনবার বৈঠকের জন্যে দিন ঠিক হয়েও তা বাতিল হয়ে যায়। সিসোদিয়া কটাক্ষ করে বলেন যে, রাজধানীতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের কোনও সময়ই নেই।