হাইলাইটস
- রাজস্ব ঘাটতি। কর্মীদের বেতন দিতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ দিল্লি সরকার
- মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে সাহায্যের আবেদন করেছেন
- ৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে দরবার করা হয়েছে, জানিয়েছেন মণীষ সিসোদিয়া
নয়া দিল্লি: কর্মীদের বেতন দিতে কেন্দ্রের (Modi Government) শরণাপন্ন দিল্লির সরকার (Delhi Government)। ৫ হাজার কোটি টাকা সাহায্য চেয়ে দরবার করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। রবিবার টুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (CM Kejariwal) বলেছেন, "আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি এই সঙ্কটের (Covid-19) মুহূর্তে দিল্লির পাশে দাঁড়াতে।" একইভাবে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া বলেছেন, "৫ হাজার কোটি টাকা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে দিল্লি কিছুই পায়নি। অন্য রাজ্যগুলো এই খাতে টাকা পেয়েছে।" তাঁর দাবি, "সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে দিল্লি সরকারের প্রয়োজন ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাকি খরচ বাবদ প্রয়োজন আরও দেড় হাজার টাকা।" রবিবার এক অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে মণীষ সিসোদিয়া বলেন, "আমাদের জিএসটি বাবদ গত দু'মাসে আয় হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। কর্মীদের বেতন মেটাতে আরও অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। এঁদের মধ্যে অনেকে করোনা যোদ্ধা, যারা গত ৩ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।"
অর্থনীতির বিরাট অংশ উন্মুক্ত করা হল, আরও সতর্ক হতে হবে এই সময়ে: ‘মন কি বাত'-এ প্রধানমন্ত্রী
চতুর্থ দফার লকডাউনের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজ্যে রাজস্ব ঘাটতি। তাই তিনি আবেদন করেছিলেন, "আমরা ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে। আসুন করোনাকে সঙ্গে করেই বাঁচতে শিখি।"
Unlock1: পঞ্চম দফার লকডাউনেও কী কী খুলছে না দেখে নিন তালিকা
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮,৩৮০ জন। যা একদিনের নিরিখে সর্বাধিক সংক্রমণের নজির। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮২ লক্ষ। রবিবার সকালে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়িয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রথম দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৮,০০০ ছাড়াল। গত তিনদিনের রেকর্ড সংক্রমণের নিরিখে ভারত এখন করোনায় সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেশের তালিকায় ন'নম্বরে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দু'মাসের লকডাউন শেষে অবশেষে লকডাউন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ফেজ-১।