Read in English
This Article is From Sep 22, 2018

'ছেলে'র কান্নার ছবি সামনে আসতেই দিল্লির নিকাশী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় এল অন্য মোড়

অনিলের মৃতদেহের পাশে একটি ছেলের ক্রন্দনরত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেই ওই এনজিও পরিবারকে সাহায্য করতে টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

অনিলের মৃতদেহের পাশে একটি ছেলের ক্রন্দনরত এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়

নিউ দিল্লি:

মৃত্যুর পরে 57 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে দাবি জানিয়েছিল একটি এনজিও (NGO)। সেই দাবি ঘিরেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে দ্বারকায়। দিল্লির দ্বারকা এলাকায় একটি আবাসনে নিকাশী লাইন পরিষ্কার করতে গিয়ে পিছলে পড়ে মৃত্যু (Delhi Sewer Death Story) হয় অনিল নামের 27 বছর বয়সী এক ব্যক্তির। মৃতের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি এনজিওর তরফে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।

অনিলের মৃতদেহের পাশে একটি ছেলের ক্রন্দনরত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেই ওই এনজিও পরিবারকে সাহায্য করতে টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

গত 14 সেপ্টেম্বর মারা যান অনিল। 20 ফুট গভীর একটি নিকাশীর মধ্যে নেমেছিলেন অনিল। কোমরে ছিল দড়ি বাঁধা। কিন্তু আচমকাই সেই দড়ির বাঁধন খুলে যায়, সোজা নীচে পড়ে যান তিনি। যে ছবিটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাতে দেখা যায় যে একটি ছোট ছেলে অনিলের মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদছে। মনে করা হয় সেই অনিলের সন্তান। ছবিটি নেটিজেনদের ভীষণ নাড়া দেয় এবং এনজিও উদয় ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে অনিলের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি প্রচারও চালানো হয়।

Advertisement

কিন্তু এখানেই দেখা গিয়েছে সমস্যা। অনিলের বোন গীতা জানান অনিল বিবাহিত নন এবং যে মহিলা দাবি করেছেন যে তিনি অনিলের স্ত্রী ও ওই ছেলেটির মা - তিনি বাস্তবে অনিলের মাসি।

"এই মৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা গেছে। ওই মহিলা যিনি তাঁর স্ত্রী বলে দাবি করছেন আসলে তিনি আমাদের মাসি। তাঁর স্বামী বর্তমানে মুম্বাইয়ে থাকেন এবং অনিল গত তিন বছর ধরে তাঁর মাসির সঙ্গেই বসবাস করছিল। অনিল কখনোই বিয়ে করেনি, কিন্তু মাসির ছেলে মেয়েকে নিজের ছেলে মেয়ের মতোই দেখত সে।" পিটিআইকে বলেছেন গীতা।

Advertisement

গীতার দাবি, অনিল তার মাসির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তিনি এও জানান, এনজিও কর্তৃক উত্থাপিত টাকা মাসির সঙ্গে ভাগ করতে প্রস্তুত তাঁরা।

এনজিওর একজন সদস্য জানান, অনিল ও তার মাসির নিজেদের একটি পুত্র জন্মায়। কিন্তু চার মাস আগেই নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে। "অনিল ওই বাচ্চাদের নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করেছে।বাচ্চাগুলো খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন করে তাঁদের সাহায্যের জন্য টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিই।” বলেন ওই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যশোবন্ত দেশমুখ।

Advertisement

 

Advertisement